আবারও শেখ হাসিনার সম্ভাবনা দেখছে সিএনএন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম সিএনএন বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও দলটির নেত্রী শেখ হাসিনার পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখছে। যদিও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ বেশ কিছু বিষয়ে অভিযোগ তুলেছে তারা। তবে এতকিছু ছাপিয়ে তাদের অনুমান, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্রুত অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে অবদান রাখায় হাসিনার জয়ের সম্ভাবনাই বেশি।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে রোববারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রেকর্ড গড়ে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হতে পারেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যদিও তার সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। তথাপি উন্নয়ন ও দেশের অর্থনীতির সামগ্রিক অগ্রগতির কারণে হাসিনার পক্ষে পড়তে পারে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোট।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ৭১ বছর বয়সী শেখ হাসিনা। ২০০৯ সাল থেকে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়া ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনেও জয়ী হয় তার দল। যদিও প্রধান বিরোধীদলসহ অনেকেই ওই নির্বাচন বর্জন করেছিল। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর থেকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের দ্রুত অর্থনৈতিক অগ্রগতি লক্ষ্য করার মতো। কিন্তু মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং গণমাধ্যমকর্মী ও বিরোধীদলের নেতাদের হেনস্থা করা ছাড়াও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে সহিংসতা প্রতিরোধের জন্য সেনাবাহিনীকে সারা দেশ জুড়ে নিযুক্ত করা হয়েছে। দেশটির মানবাধিকার সংস্থাগুলোর আশঙ্কা ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে দেশ জুড়ে সহিংসতার ঘটনা ঘটতে পারে। যদিও নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, বেশ সুষ্ঠু পরিবেশে এবং নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবেন ভোটাররা।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধান বিরোধীদল বিএনপির সভানেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ৭৩ বছর বয়সী খালেদা জিয়াকে হারিয়ে রেকর্ড গড়ে তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় বসতে পারেন শেখ হাসিনা। খালেদা জিয়া কারাবন্দী থাকায় এবারের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না। তবে বিএনপির অভিযোগ, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

গত অক্টোবরে সংসদে পাস হওয়া বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের উল্লেখ করা হয়েছে সিএনএনের প্রতিবেদনে। তারা বলছে, এই আইনটির কারণে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব হবে এবং অনলাইনে মানুষ খোলাখুলিভাবে নিজেদের মতামত প্রকাশ করার সাহস পাবে না। তবে সবকিছুর ঊর্ধ্বে, বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন যেন একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয় সেই প্রত্যাশা করছে মার্কিন প্রভাবশালী এই গণমাধ্যম।