শেরপুর সীমান্ত এলাকায় বাঘ আতংকে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে এলাকাবাসী

শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার গাড়ো পাহাড় এলাকায় টানা ৬ দিন ধরে চলছে বাঘের উপদ্রব। রাংটিয়া রেঞ্জের গজনীবিট এলাকার মানুষ বাঘের আক্রমণে আতংকে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। উত্তর গান্ধীগাঁও, বাকাকুড়া নয়াপাড়া, হালচাটি ও ছোট গজনী এলাকায় বাঘের আক্রমণে গত ৬ দিনে আহত হয়েছে ১ শিশু এবং খোয়া গেছে ২০টি ছাগল, গরু, ভেড়া।

জানা গেছে, ভারতীয় সীমান্তের এসব গ্রামের কৃষকরা গাড়ো পাহাড়ে গরু ছাগল চড়ায়। সকালে পাহাড়ে ছেড়ে দেয়া তাদের পশুগুলো সারাদিন ঘাস খেয়ে সন্ধ্যায় বাড়ী ফিরে। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে ছাগল-গরু খোয়া যাচ্ছিল। কৃষকরা অনুসন্ধান করতে গিয়ে পাহাড়ে ছাগলের নাড়ীভুঁড়ি পড়ে থাকতে দেখেন। গান্ধীগাঁও গ্রামের মনজু মিয়ার ১টি গরু ও সবুজ মিয়ার ১টি ভেড়া আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী আক্কাছ আলী, আমিনুল ইসলাম ও আবু তালেব জানান, বাঘ জাতীয় হিংস্র প্রাণী এসব পশু ধরে নিয়ে যাচ্ছে।

ইতিমধ্যে বাকাকুড়ার সাগরের ২টি ছাগল, আমিনুলের ১টি ছাগল, গান্ধীগাঁও গ্রামের আলমের ১টি ছাগল, ঠান্ডু পাগলার ১টি ছাগল, আক্তারের ১ টি ছাগলসহ ১৮ টি ছাগল খেয়ে ফেলেছে গত ৬ দিনে। এছাড়াও উত্তর বাকাকুড়া গ্রামের গজেন্দ্র মারাকের ৮ বছর বয়সী ছেলেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ফলে সীমান্তের ওই গ্রামগুলোতে বাঘের আতংক বিরাজ করছে।

এলাকাবাসী জানান, বছরের পর বছর ধরে হাতীর আক্রমণে ফসল ও প্রাণহানী ওই জনপদের মানুষের মধ্যে অব্যাহত রয়েছে। চলতি আমন মৌসুমে এখনো হাতীর আক্রমণ না হলেও তারা ফসল নিয়ে চিন্তিত। বর্তমানে হাতীর দলগুলো পূর্বদিকে ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট সীমান্তে রয়েছে বলে জানা গেছে।

কিন্তু হঠাৎ করেই বাঘের আক্রমণে আতংকে রয়েছেন এলাকাবাসীরা। স্থানীয় বন বিভাগ জানিয়েছে লের্পাট ও কেরাকেল প্রজাতির ৩টি বাঘ চষে বেড়াচ্ছে। তারা সীমান্তে বসবাসকারীদের সাবধানে চলাচল করতে ও তাদের পশুগুলো নিরাপদে রাখতে অনুরোধ জানিয়েছেন।