শ্রীলঙ্কার বন্দরে চীনের নিয়ন্ত্রণ, ভারতের ঘুম হারাম!

আবারও ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় চীন হাত বাড়িয়েছে। চীনের নিয়ন্ত্রণে থাকা বন্দরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শ্রীলঙ্কার নৌসেনা ঘাঁটি। চীন এভাবে নিজেদের আধিপত্য কায়েম করতে চাইছে বলে মনে করছেন কূটনীতিবিদরা।

এই বন্দরকে চীন সামরিক কাজে ব্যবহার করতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

বর্তমানে শ্রীলঙ্কার অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র গালেতে অবস্থিত ওই নৌঘাঁটি। সেটিকেই এবার সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে ১২৫ কিলোমিটার দুরে হাম্বানতোতায়।

এশিয়া ও ইউরোপের মূল শিপিং রুটের কাছেই অবস্থিত ওই বন্দর। ১৫০ কোটি ডলারে তৈরি হওয়া ওই বন্দর চীনের ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’ প্রকল্পে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ১১২ কোটি ডলারে সেই বন্দর লিজ নিয়েছে চীনের ‘মার্চেন্টস পোর্ট’।

নতুন এই সিদ্ধান্তে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ভারত, আমেরিকা, জাপানের মতো দেশ। যদিও শ্রীলঙ্কা ওই বন্দর চীনকে সামরিক কাজে ব্যবহার করতে দেবে না বলেই দাবি করেছে।

শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী এক বিবৃতি জানান, ‘হাম্বানতোতা বন্দর সামরিক কাজে ব্যবহার করা যাবে বলে চীনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, ‘ওই বন্দরের নিরাপত্তা থাকবে শ্রীলঙ্কার হাতেই।’

ইতিমধ্যেই শ্রীলঙ্কার নৌসেনা ওই বন্দরে সরতে শুরু করেছে। নির্মাণের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই বন্দরের প্রকল্পের মাধ্যমে ভারত মহাসাগরে লজিস্টিক হাব তৈরি করতে চাইছে চীন। এর ফলে চীনের আর্থিক উন্নতি হবে।

এদিকে, ভারতকে নৌসেনা ঘাঁটি তৈরি করতে দিচ্ছে না সিসেলিস। দেশটির পার্লামেন্টের তরফ থেকেই এই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারত মহাসাগরে বিস্তার লাভ করতে চেয়েছিলেন আফ্রিকার দ্বীপরাষ্ট্র সিসেলিসের হাত ধরে। কিন্তু মোদির সেই স্বপ্নে কার্যত জল ঢেলে দিয়েছে ওই দেশ।

গেল জানুয়ারিতে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। কিন্তু এরপরই সিসেলিসের বিরোধী দলগুলি এই নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে। ব্যস্ত জলপথে ভারতের নৌঘাঁটি চাইছিল না সেদেশের মন্ত্রীরাও।

এর ফলে সিসেলিস ভারতের কাছে বিকিয়ে যাবে বলে মনে করছিল তারা। তাই শেষ পর্যন্ত এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দেশটির তরফে।