সংঘর্ষ এড়াতে কাকরাইলে সারা রাত পুলিশি নিরাপত্তা

বিশৃংখলা বা সংঘর্ষের মতো ঘটনা এড়াতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদের আশপাশে সারা রাত পুলিশি নিরাপত্তা থাকবে বলে জানিয়েছেন রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) নাবিদ কামাল শৈবাল।

মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভির অবস্থান করা নিয়ে কাকরাইল মসজিদের আশপাশে উত্তেজনা দেখা দেয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, নামাজের জন্য আসা মুসল্লিদের আমরা আশপাশের অন্য মসজিদে নামাজ পড়ার জন্য অনুরোধ করছি। নিরাপত্তার স্বার্থেই এমনটি করা হচ্ছে। এখানে কোনো রকম বিশৃংখলার সুযোগ নেই।

বুধবার বিকালে তাবলিগ-জামাতের একটি অংশ মসজিদে প্রবেশ করছে চাইলে তাদের সরিয়ে দেয় পুলিশ।

এর আগে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কাকরাইল মসজিদে পৌঁছান মাওলানা সাদ কান্ধলভি।

বিকাল সাড়ে ৩টায় তাকে পুলিশ প্রহরায় বিমানবন্দর থেকে কাকরাইল মসজিদে নেয়া হয়।

বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শাহজালালবিমানবন্দরেপৌঁছান মাওলানা সাদ। তাকে স্বাগত জানানোর জন্য ঢাকার কাকরাইলের মুরব্বি প্রকৌশলী সৈয়্দ ওয়াসিফুল ইসলামের নেতৃত্বে তাবলিগ জামাতের আরেক অংশের সমর্থকরা অবস্থান করেন।

মাওলানা সাদ বিরোধীরা তাকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না ঘোষণা দিয়ে দুপুর ১২টা থেকেই বিমানবন্দর চত্বরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।

এ সময় বিক্ষোভকারীরা বলেন, এবারের ইজতেমায় মাওলানা সাদের অংশ নেয়ার বিষয়ে তারা আগে থেকেই বিরোধিতা করে আসছেন। এ মোতাবেক তাদের আশ্বাসও দেয়া হয়েছিল যে, মাওলানা সাদ এবার আসছেন না। কিন্তু বর্তমানে উল্টোটাই জানতে পেরেছেন। এ কারণে তারা রাস্তা অবরোধ করে রাখেন।

আন্দোলনকারীরা জানান, ইতিমধ্যে মাওলানা সাদ বিমানবন্দরের ভেতরে অবস্থান করছেন। কিন্তু তাকে বিমানবন্দরের ভেতর থেকে বাইরে আসতে দেয়া হবে না। তাকে ভারতে ফিরে যেতে হবে।

উল্লেখ্য, মাওলানা সাদ ‘তাবলিগ করা ছাড়া কেউ বেহেশতে যেতে পারবে না’ বলে বক্তব্য দেয়ায় তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসা।