সংলাপেই কী মিলবে সমাধান? যা বলছেন রাজনৈতিক নেতারা

আজ বৃহস্পতিবার (০১ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের সংলাপ। সন্ধ্যায় গণভবনে ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোটের কয়েকজন শীর্ষ নেতা। রাজনীতিবিদরা মনে করছেন, বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির আহ্বানে ক্ষমতাসীনদের ইতিবাচক সাড়ায় দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক স্থবিরতা কাটবে। যদিও এর সফলতা নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

সরকারের পক্ষ থেকে সংলাপের সাড়া পেয়ে ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে বিএনপি নেতৃবৃন্দের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়াটা ছিলো এমনই ইতিবাচক। কিন্তু মাত্র একদিন পরই বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে দুই দুইটি রায়ে তা হতাশায় পরিণত হতে দেরী হয়নি।

বিএনপি নেতৃবৃন্দ হতাশ হলেও ঐক্যফ্রন্টের অন্যান্যরা এখনই হতাশ হতে চান না।

ঐক্যফ্রন্ট নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমরা আশাবাদী। আমরা এখনই আশা রাখছি সংলাপটা হচ্ছে। সরকারকে আমরা বলব ভেবেচিন্তে যাতে সমাধান করা যায়, এমনভাবে সংলাপটা পরিচালনা করতে।’

ঐক্যফ্রন্টের বাইরে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোও তফসিলের আগে সরকারের এমন মনোভাবকে স্বাগত জানিয়েছে। নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক সংকট সমাধানের পূর্বাভাস হিসেবেই দেখছেন তারা।

বিকল্পধারা মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান বলেন, ‘সংঘাত যদি আমাদের সঙ্গে সরকার, বিরোধী দলের সঙ্গে হয়, এতে জনগণ কষ্ট পায়। সেখানে আমি মনে করে সংলাপ সহজ এবং ভাল উপায়।’

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘খুব সম্ভবত আর কোন নেতা এত দূর চলে যাবার পরে সংলাপে সারা দিতে সাহস করতেন না। এটা রাজনৈতিক জীবনে কামাল হোসেনের সব থেকে ভাল সিদ্ধান্ত।’

সংলাপের আহ্বানে সাড়া দেয়াকেই বড় সাফল্য হিসেবে দেখছেন কেউ কেউ। অনেকেরই মত উভয় পক্ষের ছাড় দেয়ার মানসিকতা থাকলে ইতিবাচক হবে এই আয়োজন।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ফলাফলের ওপরে সংলাপ নির্ভর করে না। সংলাপই একটা সভ্য সমাজে চলার জন্য একটি রাস্তা করে দেয়।’

শেষ পর্যন্ত সবার অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আশাবাদ দলমত ভেদে সবার।