সবচেয়ে মোটা বালকটির পাকস্থলী কেটে কমিয়ে দিলেন চিকিৎসকরা!

অতিরিক্ত আহারই তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিল। শেষে চিকিৎসকদের প্রচেষ্টায় পাকস্থলির একাংশ ছেঁটে নবজন্ম লাভ করল বিশ্বের সবচেয়ে মোটা বালক। বয়স মাত্র ১১ বছর। কিন্তু এখনই শরীরের ওজন ১৯০ কেজি। ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভার কারাওয়াং নিবাসী আর্য পের্মানার দেহের ওজন সমবয়সী অন্তত ৬টি ছেলের মোট ওজনের সমান। দিনে ৫ বার বিপুল পরিমাণে খাদ্য গ্রহণের ফলে তার শারীরিক পরিস্থিতি এমন হয়েছিল যে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, অবিলম্বে তার পাকস্থলীর খানিক অংশ বাদ না দিলে মৃত্যু আসন্ন।

অস্ত্রোপচারের এক মাস পরে এক ধাক্কায় তার ওজন ৩১ কেজি কমেছে। চিকিৎসকদের আশা, আগামী ১২ মাসে আরও ১০০ কেজি ওজন কমবে আর্যর। আসলে অপারেশনের পরে অনেকটাই কমে গেছে এই বিরাট বালকের খিদে। জন্মের সময় আর্যর ওজন ছিল ৩.৭ কেজি, যা সুস্থ নবজাতকের পক্ষে স্বাভাবিক। কিন্তু ৫ বছর বয়স থেকে হু হু করে তার ওজন বাড়তে শুরু করে। মাত্র ৪ বছরে তার ওজন বাড়ে ১২৭ কেজি। পথেঘাটে তাকে দেখে অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে পড়তে থাকেন অনেকে। কেউ আবার ক্যামেরা তাক করে শিশুটির ছবি তুলতে ব্যস্ত হন। শেষে স্কুলের এক অনুষ্ঠানে হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে গেলে কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে। চিকিৎসকরা তার রক্ত পরীক্ষা করে দেহে বেশ কিছু অসঙ্গতি খুঁজে বের করেন। আর্য ও তার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলার পরেও ধরা পড়ে বিস্তর গরমিল। বোঝা যায়, পরিবারের অপত্য স্নেহই তাকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ডেকে পাঠিয়ে বাবা-মা’কে সাবধান করা হলেও বিশেষ লাভ হয়নি।

অবশেষে শল্যচিকিৎসকদের সাহায্যে নবজন্ম লাভ করেছে এই বিস্ময়-বালক। বিশ্বের কনিষ্ঠতম রোগী হিসেবে তার দেহে গ্যাসট্রিক স্লিভ অপারেশন করা হয়েছে। আশা করা যায়, নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে ভবিষ্যতে হুঁশিয়ার হবেন পরিবারের সকলেই।-এই সময়।