সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে ভোলায় প্রশাসন

সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে ভোলায় সকাল থেকে বেশ তৎপর ছিল পুলিশ,র‍্যাব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

সকাল থেকেই ভোলা সদর রোড, যুগিরঘোল, মহাজপট্টি, চকবাজার ও কাচাবাজারের খালপাড়সহ বিভিন্ন এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতের কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার(১ জুলাই) সকাল থেকে সরকার ঘোষিত কঠোর নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের ভোলা জেলার সকল উপজেলায় বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্টেটগণের নেতৃত্বে ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ১০৪ জনকে ১,০৩,৯০০ টাকা জরিমানা এবং ২ জনকে ৫ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের নেতৃত্বদানকারী নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ ইউছুফ হাসান বলেন, ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের সময় বিচারক অপরাধীর অপরাধের ধরন বিবেচনায় যে কোন অংকের অর্থ কিংবা দণ্ড দেওয়ার বিধান আইনে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কঠোর লকডাউন কঠোরভাবে পালনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে জনগণকে বার বার সতর্ক করা হচ্ছে। কিন্তু যারা সতর্ক করা সত্বেও করোনাকালীন এ সময়ে গাফিলতি করছেন বা সরকারের নির্দেশনা মানছেন না শুধু তাদের বিরুদ্ধেই জেল-জরিমানাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এছাড়া ভোলায় সকালে বাংলা স্কুল মোড়, সদর রোড, যুগিরঘোলসহ শহরের প্রবেশ মুখে ও বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। ওই সব এলাকায় পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যদেরকে ব্যাপক তৎপর থাকতে দেখা গেছে। পুলিশ জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কাউকে রাস্তায় বের হতে দিচ্ছে না। যে সব যানবাহন রাস্তায় চলাচল করার চেষ্টা করছে তাদেরকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যারা সঠিক কারণ দেখাতে পারেননি তাদেরকে করা হচ্ছে জরিমানা।

সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে ভোলা জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে জেলা পুলিশ ছিলেন তৎপর। এছারা তারা পুলিশের বিভিন্ন চেকপোস্ট ও কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

এ ব্যাপারে ভোলা জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, সরকার ঘোষিত কঠোর বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নে ভোলা জেলা পুলিশের সকল ইউনিট মাঠে রয়েছেন। এবং জেলার প্রতিটি থানা পুলিশ কঠোর ভাবে দায়িত্ব পালনে তৎপর রয়েছেন।