সাংবাদিকের উপর হামলাকারী জবি ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে অস্বীকৃতি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রলীগ কর্মী ইকবাল মাহমুদ রানা কর্তৃক গত ১৯ জুলাই সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনার সাংগঠনিক কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন।

২০ জুলাই এ নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে বসেন তিনি, এসময় তিনি কোনো ধরনের সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে পারবেন না বলে জানান। এছাড়াও তিনি সাংবাদিকদের যা ইচ্ছা তাই করতে বলেন। অভিযুক্ত ইকবাল মাহমুদ রানা জবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন এর অনুসারী।

জানা যায়, গত ১৯ জুলাই দুপুর ২টায় জবি ছাত্রলীগের কর্মীরা ক্যাফেটেরিয়ায় সিরিয়াল টোকেন ছাড়াই খাবার নিতে গিয়ে সিরিয়ালে থাকা অন্যান্য শিক্ষার্থীদের টোকেন ফেলে দেয় ও ক্যান্টিন কর্মীদের গালিগালাজ করে। ক্যাফেটিরিয়ায় হুলুস্থুল দেখে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে এশিয়ান টিভি অনলাইনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি অমৃত রায়কে হুমকি দেয় ছাত্রলীগ কর্মী সমাজকর্ম বিভাগের সাজেদুল ইসলাম সৈকত এবং অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ইকবাল মাহমুদ রানা। পরবর্তীতে খেতে বসা সাংবাদিকদের টেবিলে অভিযুক্তরা দলবল নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। একপর্যায়ে এশিয়ান টিভি অনলাইনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি অমৃত রায়কে লাথি দেয়া শুরু করে ইকবাল মাহমুদ রানা।

এসময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন এসে হামলাকারীদের নিবারণ করে এবং বিচারের আশ্বাস দিয়ে বিষয়টি আপাত স্থবির করতে বলেন কিন্তু ঘটনার একদিন পর নিজ কর্মীকে বাঁচাতে তার বিরুদ্ধে এখন কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে পারবেন না বলে জানান তিনি।

গতকাল তাৎক্ষনিক বিষয়টি ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে গেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকল্যাণ পরিচালক এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন, বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারেন এবং রিপোর্টার্স ইউনিটির সাথে কথা বলেন। পরবর্তীতে তিনি ছাত্রকল্যান পরিচালক হিসেবে সুপারিশ করে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগের উপদেশ দিলে প্রক্টর বরাবর অভিযোগ পত্র দেন আহত সাংবাদিক।

গতকাল এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহীম ফরাজী বলেন, সাংবাদিকের গায়ে হাত দেয়া কোনভাবেই কাম্য নয়। শুধু সাংগঠনিক ব্যবস্থা নয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ স্থিতিশীল রাখতে একাডেমিক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। কিন্তু এ ব্যাপারে আজ ২০ জুলাই তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।