সাইক্লোন শেল্টার থেকে ঘরে ফিরছে মানুষ

ঘূর্ণিঝড় মোরা উপকূল এলাকা অতিক্রম করার পর বিভিন্ন সাইক্লোন শেল্টার ও আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেয়া প্রায় চার লাখ ৬৮ হাজার মানুষ মঙ্গলবার দুপুরের পর ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে অধিকাংশ মানুষই ঘরে ফিরে গেছেন।

মঙ্গলবার বিকেলে বিভিন্ন সাইক্লোন শেল্টার, আশ্রয়কেন্দ্র এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ঘূর্ণিঝড় মোরা মোকাবেলায় ঝালকাঠি জেলায় ৪৫ টি ও বরিশাল জেলায় ২৩৬টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, পটুয়াখালি, নোয়াখালী, বরিশাল, ভোলাসহ উপকূলবর্তী জেলাসমূহের সাইক্লোন শেল্টার ও আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকারীরা ঘরে ফিরে গেছে।

সন্দীপ উপজেলা নির্বাহনী কর্মকর্তা (ইউএনও) গোলাম যাকারিয়া বলেন, সাইক্লোন শেল্টারগুলোতে অবস্থান নেয়া মানুষরা সবাই ঘরে ফিরে গেছেন। ঘূর্ণিঝড় মোরার প্রভাবে এখানে উল্লেখযোগ্য কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে সামান্য কিছু ক্ষতি হয়েছে।

ভোলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, মানুষের মধ্য থেকে ঘূর্ণিঝড় মোরা আতঙ্ক একেবারে কেটে গেছে। ২০ হাজারের বেশি মানুষ সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাদের সবাই নিরাপদে বাসায় ফিরে গেছেন।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় মোরার প্রভাবে জেলার প্রায় ২০ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। গাছপালা উপড়ে গেছে। গাছপালা ভেঙ্গে গিয়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।সাইক্লোন শেল্টারগুলো থেকে মানুষ ঘরে ফিরেছেন। যাদের বাড়িঘর ভেঙ্গে গেছেন তাদের কেউ কেউ এখনও সেখানে অবস্থান করছেন।

ঘূর্ণিঝড় মোরা’র তাণ্ডবে এখন পর্যন্ত মোট ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজারে ৩, রাঙ্গামাটিতে ২ এবং ভোলার মনপুরায় ১ জন মারা গেছেন। এছাড়া ঝড়ে উপকূলের বহু বাড়িঘর ও গাছপালার ক্ষতি হয়েছে।