সাতক্ষীরার কলারোয়ায় কোল্ডস্টোরেজে আলু মজুত, ব্যবসায়ী ও কৃষকদের মাথায় হাত!

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় কোল্ডস্টোরেজে আলু রাখা ব্যবসায়ী ও কৃষকদের মাথায় হাত পড়েছে।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) যশোর-সাতক্ষীরা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে কলারোয়া পৌর সদরের ঝিকরায় অবস্থিত হিমাগরে ঘুরে দেখা গেছে আলুর দাম না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন হিমাগারে আলু মজুত করে রাখা কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বর্তমানে প্রতি কেজি আলু পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১৮ থেকে ১৯টাকা, আর খুচরা সর্বোচ্চ ২৫টাকা দরে। গত বছর পাইকারি বিক্রি হয়েছিলো ২৫টাকা কেজি দরে। অন্যান্য বছর অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের শুরু থেকে হিমাগারে মজুত করা আলু বাজারে বিক্রি করে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা বেশ লাভবান হতেন। কিন্তু চলতি বছর আলুর পরিবহন ও হিমাগরে রাখার খরচ পড়েছে কেজি প্রতি ২০টাকার উপরে।

এ বছর চাহিদার তুলনায় বেশি আলু উৎপাদন হওয়ায় ও সংরক্ষণ করায় আলুর বাজার পড়ে গেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

উপজেলার ঝিকরা গ্রামের বাসিন্দা, ব্যবসায়ী সঞ্জয় কুমার মুলুক, চলতি বছর কাটি লাল জাতের আলু ৫৫ কেজির ২০০০ হাজার বস্তা আলু কলারোয়া কোল্ডস্টোরেজে রেখেছেন। তাতে ৫৫ কেজির প্রতি বস্তা আলু হিমাগারের ভাড়াসহ রাখতে খরচ হয়েছে ১২৬৫ টাকা। বর্তমান বাজারে বিক্রি করতে পারছেন ১০৪৫ টাকা। প্রতি ৫৫ কেজির বস্তায় লোকসান হচ্ছে ২২০ থেকে ২৫০টাকা।

হিমগারের ম্যানেজার খালিদ হোসেন জানান, আমাদের কোল্ডস্টোরেজে এ বছর ২৬ হাজার বস্তা আলু ৯ মাসের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। এ বছর বিদ্যুৎ বিল বেশি হওয়ায় বস্তা প্রতি খরচ হয়েছে ২৫০ টাকা। চলতি বছরে ৩০০ জন কৃষক ও ব্যবসায়ী আলু রেখেছেন।

তিনি আরো জানান, হিমাগরে আলু রাখলে প্রতি ৫৫ কেজির বস্তায় ৫ কেজি আলু ওজন কমে যায়। এছাড়া বাজারে আলুর দাম না থাকায় প্রত্যেকেই এখন মোটা অঙ্কের ক্ষতির মুখে পড়েছেন।