সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দরে পেয়াজ মজুদ, ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান
আসন্ন রমজান মাস ঘিরে বাজারে থাবা বসাচ্ছেন অতিরিক্ত মুনাফালোভীরা। এতে চোখেমুখে অন্ধকার দেখছেন নিম্নআয়ের মানুষ। দুশ্চিন্তায় মধ্যবিত্তও। আর রোজায় দ্রব্যমূল্যের ন্যায্য দাম নিশ্চিতের লক্ষ্যে অসাধু চক্রদের ঠেকাতে টাস্কফোর্স গঠন করেছে সরকার। এজন্য সাতক্ষীরায় পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে।
আমদানিকারকদের কেউ বলছেন, তারা পেয়াজ মজুদ করেননি। বাজারে ছাড়বেন। তবে গোডাউন ভর্তি ভারতীয় ও দেশী জাতের পেয়াজ মজুদ রাখার প্রমাণ পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ।
জানা যায় কৃষি মন্ত্রনালয়ের আমদানি উদ্ভিদ বা উদ্ভিদের পণ্য আমদানি পারমিটের সাভারে আইপির আবেদন করলে, সেই আইপির মেয়াদ দেয়া হচ্ছিল ১৫ মার্চ পর্যন্ত। অথচ নিয়ম অনুযায়ী স্বাভাবিক ভাবে আইপির আবেদন করলে সেই আইপির মেয়াদ দেয়া হয় ৯০ থেকে ১২০ দিন। এছাড়াও বিশেষ ক্ষেত্রে আবেদন করলে আইপির আরো বৃদ্ধি করা হয়।
একারনে গত ১৫ মার্চ থেকে বন্ধ হয়েছে ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানী। এতে অস্থিরতা বাড়ে বন্দর এলাকার ব্যবসায়ী ও আমদানীকারকদের মাঝে। ইতোমধ্যে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মূনাফা পাবার আশায় পেঁয়াজের মজুদ করেছে। ফলে দেশের বাজারে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ থাকা সত্তেও সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় খুচরাবাজারে ভারতীয় প্রতি কেজি পেঁয়াজের ৪ থেকে ৬ টাকা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে । এক কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। অন্যদিকে পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকায়।
এদিকে, রোববার দিনভর ভোমরা স্থলবন্দরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল আমিন ফোর্স নিয়ে এই আদালত পরিচালনা করেন। এসময় তিনি বন্দর অভ্যন্তরে পেঁয়াজ আমদানিকারক, ডিলার, ব্যবসায়ী ও গোডাউনে মজুদ রাখার অভিযোগে ভোমরা বন্দরের শুভ এন্টারপ্রাইজ এর মালিক বিকাশ চন্দ্র কে ১০ হাজার টাকা, রাফসান এন্টারপ্রাইজ মিজানুর রহমান কে ২৫ হাজার, এস আর এন্টারপ্রাইজ এর মালিক সাদ্দাম হোসেন কে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া নিশি এন্টারপ্রাইজ এর মালিক খোরশেদ আলম এর কাছ থেকে মুচলেকা ন্যায় ভ্রাম্যমান আদালত।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমুল হাসান, র্যাব ৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর গালিব, কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এস এম আব্দুল্লাহ বিজিবি ভোমরা ক্যাম্প কমাণ্ডার শামীম হোসেনসহ সঙ্গীয় ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের দিন থেকে টাস্কফোর্সের অভিযানিক দলটি সাতক্ষীরা শহর ও ভোমরা স্থলবন্দরে ঘুরে ঘুরে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করলেও গুরুত্ব না দেয়ায় এই জরিমানা শুরু হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন