সাতক্ষীরায় গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষাবাদে কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

সাতক্ষীরায় গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষাবাদে আধুনিক কলাকৌশল নির্ণয়ে বারি’র কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার বেলা ১১টায় বিনা প্রশিক্ষণ মিলনায়তনে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট-বারি খুলনা দৌলতপুর কৃষি গবেষণা কেন্দ্র’র সরেজমিন গবেষণা বিভাগ।

কৃষক প্রশিক্ষণে ষাটজন গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষাবাদে সম্পৃক্ত কৃষক অংশগ্রহণ করে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে সাতক্ষীরা জেলাকে বারি’র এই গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষাবাদের রাজধানী ঘোষণা করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

কৃষক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বারি’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হারুন অর রশিদ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নুরুল ইসলাম।

আলোচনা করেন বারি’র কর্মসূচি পরিচালক ড. ফারুক হোসাইন, বিনা’র ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বাবুল আকতার, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাশফিকুর রহমান প্রমুখ।

ড. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে সাতক্ষীরার চাষীরা আজ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী। তাই টমেটো শুধু অর্থকরী ফসল না মানুষের পুষ্টি চাহিদা পুরণের গুরুত্বপূর্ণ ফসল। ১০০ গ্রাম ভক্ষণোপযোগী পাকা টমেটোতে ৯৪ গ্রাম জলীয় অংশ, ০.৫ গ্রাম মোট খনিজ, ০.৮ গ্রাম আঁশ, ০.৯ গ্রাম আমিষ, ০.২ গ্রাম স্নেহ, ৩.৬ গ্রাম শর্করা থাকে। উল্লেখযোগ্য খনিজ ও খাদ্য উৎপাদনের মধ্যে ক্যালসিয়াম ৪৮ মিগ্রাম, লৌহ ০.৪ মিগ্রাম, ক্যারোটিন ৩৫৬ মাইক্রোগ্রাম, খ্যাদ্যপ্রাণ বি-১ ০.১২ মিগ্রাম, খ্যাদ্যপ্রাণ বি-২ ০.০৬ মিগ্রাম ও খ্যাদ্যপ্রাণ সি ২৭ মিগ্রাম রয়েছে। তাই টমেটো চাষাবাদ শুধু চাষাবাদের জন্য চাষাবাদ নয়। জনউপকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ ফসল।’