সাতক্ষীরায় ঘোড়া দিয়ে হাল চাষ

সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে কৃষি চাষাবাদেও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। এক দিকে যেমন কৃষকেরা সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নত চাষাবাদ শুরু করেছে। অন্য দিকে গরুর হাল চাষ অনেকটা উঠিয়ে গেছে। সেখানে দু’টি ঘোড়া দিয়ে চাষাবাদ অনেকটা রূপ কথার গল্প মনে হলেও ঘোড়া দিয়ে জমি চাষ করার বাস্তাবতার প্রতিফলন ঘটেছে সাতক্ষীরার কলারোয়ায়।

কাজেই ঘোড়ার ব্যবহার নতুন নয়। কালের বিবর্তনে স্থানে পেয়েছে ইতিহাসের পাতায়। প্রযুক্তির এই যুগে এসেও ঘোড়া দিয়ে কেউ মাঠে চাষ করবে সেটা অনেকটা অকল্পনীয়।

সম্প্রতি সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ৩নং কয়লা ইউনিয়নের আলাইপুর গ্রামের কলারোয়া-খোরদো সড়কের পাশে অকল্পনীয় বিষয়টিই বাস্তবে দেখা গেছে। স্থানীয় আলাইপুর গ্রামের আনারুল ইসলাম এখনো ঘোড়া দিয়েই হালচাষ করেন।

কৃষক আনারুল বলেন, প্রায় ২ বছর থেকে ঘোড়া দিয়ে জমি চাষ করে আসছি। নিজের সামান্য জমি চাষাবাদের পাশাপাশি অন্যের জমি চাষ করিয়ে দিয়েই যা উপার্জন করে তার টাকা দিয়ে সংসার চালানো হয়।

তিনি আরো বলেন, নিজের জমি চাষ করেও অপরের জমিতে টাকার বিনিময়ে গরুর পরিবর্তে ঘোড়া দিয়ে হাল চাষ করি। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিশ শতাংশ জমি চাষাবাদের উপযোগী করতে পারি। ঘোড়া দিয়ে মানুষের ইরি বোরো জমিতে মই দিয়ে চাষে সহায়তা করছেন। এতে করে বিঘা প্রতি একচাষ ২শ’ টাকা করে নেন। ঘোড়া দিয়ে জমি চাষ ও মই চাষের জন্য প্রতিনিয়ত তার ঘোড়ার হালের প্রচুর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে অনেক কৃষক ঘোড়া দিয়ে হাল চাষ করার ইচ্ছা পোসন করেন।