সাতক্ষীরায় পরকীয়ায় স্বামীকে হত্যা: জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন-মিছিল

স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্কের জেরে স্বামীকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের ফাঁসি ও শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।

রবিবার (৬ মার্চ) সকালে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা এলাকার নগরঘাটা ইউনিয়নের সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের ত্রিশমাইল নামক স্থানে নগরঘাটা ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগনের ব্যানারে সর্বস্তরের মানুষের সমন্বয়ে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নিহতের বড় ভাই সাবেক মেম্বার আবুল কালাম আজাদ, নিহতের ছেলে সোহাগ ও সাব্বির হোসেন, সাবেক মেম্বার আব্দুল আলিম, শাহিনুর রহমান, আলতাফ হোসেন, মাছুম বিল্লাহ বাচ্চু সহ অনেকেই।

এসময় শত শত নারী-পুরুষ-শিশু সকলেই বিচারের দাবিতে ঐক্যমত ঘোষণা করেন।

বক্তারা বলেন, ‘হত্যাকারীদের আমরা সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। এমন শাস্তি হোক যাতে এমন ঘটনা দেশে আর কেউ করতে সাহস না পায়।’

উল্লেখ্য, পাটকেলঘাটা থানার নগরঘাটা ইউনিয়নের মঠবাড়ি গ্রামের মোহাম্মদ আলী মোড়লের পুত্র গোলাম হোসেন মোড়ল (৪০) কে গত ১মার্চ রাতে তার স্ত্রী মোছা. রেহেনা পারভীন (৩৮) গলায় রশি দিয়ে শ্বাসরোঁধ করে। পরে নিহতের বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে নিহত গোলাম মোড়লেন স্ত্রী রেহেনা পারভীন এবং তার পরকীয়া প্রেমিক রাব্বিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেন।
পরদিন ২মার্চ থানা পুলিশ তাদেরকে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেন।
বিজ্ঞ আদালত থেকে তারা বর্তমানে জেল-হাজতে রয়েছেন।

আরো জানা গেছে, রেহেনা পারভীনের সাথে গোলাম রাব্বি (৩০)-র নামের ওই যুবকের দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া সম্পর্ক ছিলো। গোলাম রাব্বির বাড়ি যশোরের বেনাপোলে। সে নগরঘাটা ত্রিশমাইলে অবস্থিত রাকিব অটো রাইচমিলে কাজ করতো। মাসিক ৩ হাজার টাকায় নিহত গোলাম হোসেন মোড়লের বাড়িতে থাকতো-খেতো। নিহত গোলাম হোসেন মোড়লের বউ রেহেনা পারভীন তাকে রান্না করে দিতো আর তার বাড়িতেই গোলাম রাব্বি তিন বেলা ভাত খেতো। সেই সুবাদে পরকীয়ার জড়িয়ে পড়ে রেহেনা পারভীন এবং গোলাম রাব্বি। কয়েকবার তাদের অ-নৈতিক সম্পর্ক এলাকাবাসী ধরার পরেও তারা সংশোধন হয়নি।

সর্বশেষ ১ মার্চ রেহেনা পারভীন এবং গোলাম রাব্বি রাতের কোনো এক সময় অ-নৈতিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় রেহেনার স্বামী গোলাম হোসেন মোড়ল দেখে ফেলেন। আর তাতেই বাঁধে সমস্যা। একপর্যায়ে রেহেনা তার পরকীয়া প্রেমিক গোলাম রাব্বিকে সাথে নিয়ে স্বামী গোলাম হোসেন মোড়লকে রশি দিয়ে শ্বাসরোঁধ করে হত্যা করে। পরে রেহেনা সকলের নিকট হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে স্বামী গোলাম মোড়ল মৃত্যুবরণ করেছেন বলে প্রচার করেন।
পরে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করলে তারা প্রাথমিকভাবে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে।