সাফাতের যৌনচারের সঙ্গী চার নায়িকা-উঠতি মডেলরা

দেশের প্রথম সারির উঠতি মডেল, চার চিত্রনায়িকা ছাড়াও তাদের বান্ধবীরাও আসতেন সাফাত আহমেদের দেয়া বিভিন্ন পার্টিতে। তাদের অনেকে অর্থের বিনিময়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়তেন।

বনানীর রেইনট্রিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণ ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত সাফাত আহমেদ এসব তথ্য দিয়েছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের। রিমান্ডের তৃতীয় দিনে নিজের অবাধ যৌনাচার ও বাবার অনৈতিক কর্মকাণ্ডের আরো অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য অবলীলায় বলে দিয়েছেন সাফাত।

তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বখে যাওয়া সাফাত তার নিজের অবাধ যৌনাচারের কথা একেবারের খোলামেলা ভাবে বলেছেন। কোনো সঙ্কোচ বা দ্বিধা না করেই বর্ণনা দিয়েছে তার দেয়া বিভিন্ন জমকালো পার্টিতে কী হতো না হতো।

শুধু অর্থের বিনিময়ই নয়, অনেক মডেল ও নায়িকা ও তার বান্ধবীরা স্বেচ্ছায় সাফাতের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়তেন। এসব পার্টিতে অংশ নেয়া অন্তত ২০ জনের নাম জানিয়েছেন তিনি। যাদের সবাই ভিভিআইপি ঘরের সন্তান। কারো বাবা সমাজের বিত্তশালী ব্যবসায়ী, কারো বাবা মন্ত্রী-এমপি কিংবা সুপরিচিত রাজনীতিবিদ, কেউ আবার সরকারি আমলাদের সন্তান। আর বিশেষ বৈশিষ্ট হচ্ছে, এরা সবাই অবাধে যৌনাচারে লিপ্ত হতেন।

সূত্রমতে, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে সাফাত ও সাদমান ঘটনার রাতে (২৮ মার্চ) তাদের বন্ধু মাহির হারুনের (ঝালকাঠি-১ আসনের সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুনের ছেলে ও রেইনট্রি হোটেলের পরিচালক) ভূমিকা সম্পর্কেও বলেন। মাহিরের মাধ্যমেই হোটেলের রুম বুক করা হয়। সাফাতের জন্মদিনের কেক মাহিরই উপহার দেন। রুম বুক করা হয় হোটেল ডিরেক্টরের বন্ধু পরিচয়ে।

ঘটনার রাতে সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অভিযুক্তরা ছাড়াও তিন তরুণী ও এক তরুণ উপস্থিত ছিলেন। এরা হলেন- ধর্ষণের অভিযোগ আনা দুই তরুণী এবং তাদের বান্ধবী স্নেহা ও বন্ধু শাহরিয়ার। ইতোমধ্যে শাহরিয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। তবে সেদিন জন্মদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাফাত, নাঈম ও সাকিফের বান্ধবী নাজিয়া ও তানজি আলিশাও। ভুক্তভোগীদের কাছে তাদের চালচলন সন্দেহজনক মনে হয়েছে।

গোয়েন্দা সংশ্লিষ্টদের মতে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নাজিয়া ও তানজি আলিশাকেও ডাকা হতে পারে। সেদিনে ঘটনার আগে পরে সাফাতের কললিস্ট যাচাই করে ফোনালাপ সংগ্রহ করা হয়েছে। তা থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে সংশ্লিষ্টরা।