হাওরের ধান আসেনি, ফলে বাজার ঊর্ধ্বমুখী : খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, ‘দেশে কোনো খাদ্য সংকট নাই। মজুদ পরিস্থিতিতে খারাপ অবস্থানে আমরা নাই, ভালো অব্স্থানে আছি। অহেতুক একটা ভুল বার্তা মানুষকে দিয়ে, মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মাঠ পর্যায়ের খাদ্যকর্মকর্তা ও মিল মালিকদের সঙ্গে আয়োজিত মত বিনিময়সভা শেষে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।

সভা শেষে জেলার কয়েকজন মিল মালিক ও খাদ্য বিভাগের মধ্যে আড়াই হাজার টন চাল সরবরাহের চুক্তি স্বাক্ষর হয়। অনুষ্ঠানে সংবাদকর্মীদের ঢুকতে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে মন্ত্রীর উপস্থিতিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আয়োজক কর্তৃপক্ষের বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় পরে দুঃখ প্রকাশ করেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।

কামরুল ইসলাম বলেন, ‘ভারত থেকে আমদানি করা খাদ্য থেকে ট্যারিফ উঠিয়ে দেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী রাজি হননি। কারণ এতে ভারত থেকে আবার চাল আসা শুরু হবে এবং কৃষকদের ক্ষতি হবে। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কৃষকদের ক্ষতি করা চলবে না। কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে। চালের দাম বাজারে একটু বেশি হলে অনেকে বেশি উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে। কিন্তু কৃষকরা তো ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে।’

খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে চাল আমদানি করব। এরইমধ্যে দুটি দরপত্র হয়ে গেছে। তারপরও ট্যারিফ তুলে নেওয়ার চিন্তা নাই আমাদের। তা কৃষকের স্বার্থের কথা চিন্তা করেই।’

কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য হাওর অঞ্চলের ধান এবার আসেনি। যার ফলে বাজারকে ঊর্ধ্বমুখী এবং এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সঙ্গে অসাধু কিছু মিল মালিকও আছে যারা বাজারে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এবার মনে করেছিলাম বোরো ফসল উৎপন্ন হবে এক কোটি ৯১ লাখ মেট্রিকটন। এর মধ্যে ৬ লাখ মেট্রিকটন যদি হাওর অঞ্চলে নষ্ট হয়ে থাকে, ব্লাস্টের আক্রমণ ও অন্যান্য অতিবৃষ্টির কারণে যদি আরো সাত-আট লাখ টন ক্ষতি হয়ে থাকে তাহলে ধরে নিতে পারি এক কোটি ৮০ লাখ টন বোরো ফসল আমরা পাবো। ১০-১২ লাখ টন না হয় ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু বাজারে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে অসাধু ব্যবসায়ীরা আর ক্ষয়ক্ষতি থেকে প্রচারণা এমন বেশিভাবে চালানো হয়েছে যার ফলে মানুষের মধ্যে একটা শঙ্কা ও আতঙ্ক তৈরি করা হয়েছে যে দেশে একটা খাদ্য সংকট তৈরি হবে।’