সারাদেশে পূজামণ্ডপের সংখ্যা বাড়ায় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা

রাজধানীসহ সারাদেশে দুর্গাপূজার সংখ্যা বেড়েছে। এবার, ৩২ হাজার ১৬৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে। ২৫ সেপ্টেম্বর মহালয়ায় ঘোষিত হবে দেবীপক্ষ। এবার দেবী আসছেন হাতির পিঠে।

যদিও পূজায় নিরাপত্তার বিষয়টি ভাবাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এবার অনেক দিক বিবেচনায় নিয়ে পূজার সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হচ্ছে।

এখনো যেন ছুটি হয়নি বর্ষার। শরৎ তাই মিলেমিশে আছে বৃষ্টিজলে। কখনও পেজাতুলো মেঘ আর নীল আকাশ জানিয়ে দিচ্ছে ভক্তের পূজা পেতে আসছেন দেবী দুর্গা।

এবার দেবী আসছেন গজে চড়ে। বিশ্বাস বসুন্ধরা শস্যপূর্ণ করেই এবার দেবীর আগমন। তবে দেশজুড়ে পূজায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের চিন্তা পূজার নিরাপত্তা ঘিরে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের উপদেষ্টা কাজল দেবনাথ বলেন, অতীত অভিজ্ঞতার কারণে এবার নিরাপত্তার বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের দিক থেকে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সব মণ্ডপে ২৪ ঘণ্টা আমাদের পাঁচজন থাকবেন। কিন্তু দায়িত্ব সরকার ও রাষ্ট্রের। সরকার যদি ‘মিন’ করে তাহলে নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব।

তিনি আরো বলেন, পূজার পাঁচ দিন শুধু নয়, আমরা সারা বছরের নিরাপত্তা চাই৷ পূজা শুরুর আগে এখন আমরা প্রতিদিনই প্রতিমা ভাঙচুরের খবর পাচ্ছি৷ এটা থামাবে কে?

মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রমেন মণ্ডলও বলেন, গত বছরের দুর্গাপূজা দুঃখজনক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে কেটেছে।

দেশে এবার ৩২ হাজার ১৬৮টি মণ্ডপে পূজার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে৷ গত বছর ৩২ হাজার ১১৮টি মণ্ডপে পূজা হয়েছে। এবার মণ্ডপগুলোতে সব মিলিয়ে এক লাখ ৯২ হাজার আনসার থাকবেন।

পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি করা হবে। দুর্গাপূজায় দেশের প্রতিটি মণ্ডপে ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দুর্গাপূজা হবে যথা সময়ে। তাই প্রতিমা শিল্পীর নেই ফুরসত। রথযাত্রার পরদিন থেকে শুরু হওয়া কাজ এখন চলছে পুরোদমে। কোথাও শুরু হয়েছে রঙের কাজ, কোথাও হয়নি।

১ অক্টোবর ষষ্ঠী তিথিতে শুরু হওয়া শারদোৎসবে বিজয়া দশমীতে দেবী ফিরবেন নৌকায় চড়ে।