সার্চ কমিটির ঘোষণা আসছে, ইসি নিয়োগ বিলে রাষ্ট্রপতির সই
জাতীয় সংসদে পাশ হওয়া বহুল আলোচিত ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ এ সই করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
রাষ্ট্রপতি শনিবার বিলটিতে সম্মতি দিয়েছেন বলে সংসদ সচিবালয়ের পরিচালক (গণসংযোগ) মো. তারিক মাহমুদ জানিয়েছেন।
এর ফলে এখন আইন অনুযায়ী সার্চ কমিটি গঠনের পথ খুলল।
নিয়ম অনুযায়ী, রাষ্ট্রপ্রতি সংসদে পাশ হওয়া কোনো বিলে সম্মতি দিলে- তা আইনে পরিণত হয়। সরকার এখন আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন আইনটির গেজেট প্রকাশ করবে। এরপরই সার্চ কমিটি ঘোষণা করা হবে এবং সেটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।
সার্চ কমিটিতে রাষ্ট্রপতি মনোনীত দুজন বিশিষ্ট নাগরিকের মধ্যে একজন হবে নারী- এ বিধান রেখে নির্বাচন কমিশন গঠন আইন জাতীয় সংসদে গত বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) পাশ হয়েছে। এছাড়া সার্চ কমিটির কাজ ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে। যা জাতীয় সংসদে উত্থাপিত বিলে ১০ কার্যদিবস ছিল।
বিলটি পাশ হওয়ার সময় এই দুটি সংশোধনী সংসদ-সদস্যদের কাছ থেকে সুপারিশ আকারে এসেছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হলে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বিলটি পাশের প্রস্তাব করেন।
পরে আলোচিত ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ কণ্ঠভোটে পাশ হয়। এখন রাষ্ট্রপতি সই করার পর গেজেট আকারে প্রকাশ হলেই প্রথমবারের মতো প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগে আইন পাবে বাংলাদেশ। দেশের পরবর্তী নির্বাচন কমিশন এই আইনের অধীনেই গঠন হবে। তবে বিলটি নিয়ে রাজনৈতিক দল এবং সুশীল সমাজের নানামুখী সমালোচনা রয়েছে।
পাশ হওয়ার আগে প্রস্তাবিত নাম ছিল, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল।’ সংসদে সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণের মাধ্যমে এখন নাম হবে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল।’ বিলটি পাশের আগে জাতীয় পার্টি, বিএনপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সংসদ-সদস্যরা এটি জনমত যাচাই-বাছাইয়ের প্রস্তাব দেন। তবে এটি কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন