সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় কনকনে শীতে বিপর্যস্ত খেটে খাওয়া মানুষ

সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমালয়ের হিম বাতাস আর ঘন কুয়াশার কারণে উপজেলায় তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। এতে বেড়েই চলছে শীতের তীব্রতা। শীতে কাঁপছে মানুষ। কনকনে শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে উপজেলার গরিব, অসহায় ও খেটে খাওয়া শীতার্ত লোকজন।

তবে আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এছাড়াও মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ, গোপালগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, ফেনী, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা এবং বরিশাল জেলাসহ রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেটে কুয়াশা পড়তে পারে। রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

জানা গেছে, বিকেলের পর থেকে উপজেলার ওপর দিয়ে হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করে। সঙ্গে ঘন কুয়াশা আচ্ছাদিত থাকে। যা স্থায়ী থাকে পরদিন সকাল পর্যন্ত। তবে বেলার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কাটিয়ে খানিকটা সূর্যের দেখা মিললেও উত্তাপ থাকছে না। এ উপজেলা ওপর দিয়ে সবসময় হিমেল বাতাস বয়ে যাচ্ছে। কনকনে শীতে সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার গরিব, অসহায় ও শীতার্ত মানুষেরা। তারা কনকনে শীতে তেমন কাজ করতে পারছেন না। কাজের সন্ধানে বের হলেও অনেকে কাজ না পেয়ে বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন। প্রতিবছর শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও অনেকের ভাগ্যে তা জোটে না।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় উপজেলায় সর্বনিম্ন রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। যা সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তবে তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে।