সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে পুকুরের পাড় না থাকায় পাকা বাড়িতে ফাটল

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের পূর্ব পাশের দীর্ঘদিন সংস্কারহীন এক পুকুরের কারণে দেবে যাচ্ছে আশপাশের পাকা ঘরবাড়ি।

নিয়মানুযায়ী পুকুরের পাড় থাকার কথা থাকলেও জমির মালিক সে নিয়ম ভেঙ্গে মাটি উত্তোলন করেছেন। এর ফলে এরই মধ্যে পুকুরের পাশে অবস্থিত বাংলাদেশ বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ডেপুটি ডিরেক্টর আব্দুর রাজ্জাকের পাকা বাড়িতে ফাটল ধরেছে। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ওই বাড়িটি পুকুরের পানিতে ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় চল্লিশ ফুট গভীর ওই পুকুরের উত্তর পাশে কোন পাড় নেই। পুকুরের মালিক স্থানীয় মুনলাইট কিন্ডারগার্টেনের মালিক মোকলেছুর রহমান ও ঔষধ ব্যবসায়ী শামছুল হক উত্তরপাশে কয়েকটি খুঁটি দিয়ে সীমানা চিহ্নিত করে রেখেছেন। আর ওই সীমানা থেকে আব্দুর রাজ্জাকের বাড়ি মাত্র দুই মিটার দূরত্বে অবস্থিত।

সম্প্রতি মোকলেছুর রহমান তার বিদ্যালয়ের উত্তর পাশের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেছেন উত্তর পাশ দিয়ে।
এর ফলে আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িটি চরম ভাঙন ঝুঁকিতে পড়েছে বলে জানান তার ভাই স্কুল শিক্ষক আনোয়ার হোসেন।

তিনি জানান, “চাকুরির কারণে আমরা বাইরে থাকি বিধায় ওরা এরকম করেছে। জমির মালিকদের অনেকবার বললেও তারা তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না। এজন্যে প্রতিকার চেয়ে গত সোমবার (২৬ এপ্রিল) কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দরখাস্ত দিয়েছি।”

এদিকে ওই পুকুরের বর্তমান মালিক মোকলেছুর রহমান এ প্রতিবেদককে জানান, “আমরা পুকুরটি সম্প্রতি কিনে নিয়েছি। উত্তর পাশের পাড় মাটি দিয়ে বাধলে থাকবে না। আরসিসি গাইডওয়াল নির্মান করতে হবে। দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। অর্থের সংস্থান না থাকায় কাজটি করতে পারছি না। তবে শিগগিরই করে ফেলবো।”

কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দিকী এ সংক্রান্ত অভিযোগ পাবার কথা স্বীকার করে জানান, “আইন অনুযায়ী পুকুরের পাড় থাকা বাধ্যতামূলক। বিষয়টি পুকুরের মালিককে বলেছি। উনি করে দেবেন বলেছেন।”