সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতিতে মতৈক্য

সিরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে একটি মতৈক্যে পৌঁছাতে পেরেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

শুক্রবার জার্মানির হামবুর্গে জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে নিজেদের প্রথম সাক্ষাতে এ মতৈক্যে পৌঁছান বিশ্বের ক্ষমতাধর দুই রাষ্ট্রের দুই প্রেসিডেন্ট; সিরিয়া ইস্যুতে যারা পরস্পরবিরোধী পক্ষকে সমর্থন দিচ্ছেন।

আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস নিউজ এজেন্সির রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী সার্জেই লাভরভের বরাতি দিয়ে বলা হয়েছে, দামেস্কের স্থানীয় সময় রোববার দুপুর থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।

লাভরভ আরও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, বিদ্যমান প্রতিটা পক্ষই যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে।

তবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঠিক কোন এলাকাটিতে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে তাৎক্ষণিভাবে সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেছেন, যুদ্ধবিরতি কার্যকরের চেষ্টায় জর্দানও নিজেদের নিয়োজিত করেছে।

টিলারসন আরও বলেন, সিরিয়া ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া যে একসঙ্গে কাজ করতে পারে, আমার মনে হয় এটাই তার প্রথম ইঙ্গিত। আর সে কারণেই সিরিয়ার অন্য অঞ্চলেও এক সঙ্গে কাজ করার উদ্দেশ্য নিয়ে আমাদের আলোচনা দীর্ঘ হয়েছে।

সিরিয়াতে এরআগের যুদ্ধবিরতিগুলো সফল হয়নি। এবারেরটা আগেরগুলোর চেয়ে ভালো হবে কি না সে বিষয়ে এখনই নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।

এরআগের যুদ্ধবিরতিগুলোর মধ্যেও গোলাগুলি চলেছে বলে আল-জাজিরার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। আর সে কারণে যুদ্ধবিরতির মধ্যেই মানুষ আসলে নিজেকে নিরাপদ মনে করতে পারেনি।

ব্রিটেনভিত্তিক সংস্থা সিরিয়ান অবর্জাভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের হিসেবে, সিরিয়া যুদ্ধে এ পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ মানুষ নিহত হয়েছেন। অন্য দেশে পালিয়ে গেছেন কয়েক লাখ।