সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে দিয়ে সাবেক স্বামীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করার পায়তারা করছে বলে সাফায়াত হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সাবেক স্বামী -স্ত্রী ও সাফায়াত হোসেন ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের চাকিয়াচাপুর গ্রামের বাসিন্দা।
শনিবার দূপুরে এ ব্যাপারে সুবিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিলী বেগমের সাবেক স্বামী নূরুল হুদা।

সংবাদ সম্মেলনর লিখিত অভিযোগে জানা যায়,নূরুল হুদা নিলী বেগম ও সাফায়ত হোসেন । ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের চকিয়াচাপুর গ্রামের বাসিন্দা। একই গ্রামের সাফায়াত হোসেনের সাথে নূরুল হুদার পূর্ব শত্রুতা ছিল। সাফায়াত হোসেন একজন চিহ্নিত জোয়াড়ী।

নিলী বেগম ও নূরুল হুদা একে ওপরের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। এ বন্ধুত্বের সম্পর্কের জের ধরে নিলী বেগমের পরিবারের লোকজনকে ভূল বুঝিয়ে বিভিন্ন প্ররোচনা দিতে থাকে একই গ্রামের সাফায়াত হোসেন সহ ময়না মিয়া ও তুষার। প্ররোচিত হয়ে এক পর্যায়ে নিলী বেগমের বাড়িতে আটক করে বেধরক মারধর করে জোরপূর্বক বিয়ে করতে বাধ্য করা হয় নূরুল হুদাকে।

পরে কিছুদিন যেতে না যেতেই নিলী বেগম নিজ স্বইচ্ছায় আদালতের মাধ্যমে তালাক দেয় নূরুল হুদাকে।

বর্তমানে তালাক হওয়া স্ত্রীকে দিয়ে বিভিন্ন প্রকারের মানহানিকর মামলা করার ভয় দেখিয়ে নূরুল হুদার নিকট বিভিন্ন সময়ে মোটা অংকের টাকা দাবী করে আসছে সাফায়াত হোসেন, ময়না মিয়া ও তুষার।

এ বিষয়ে নিলী বেগম বলেন, নূরুল হুদার সাথে তার বিয়ে হওয়ার মতো এমন কোন সম্পর্ক ছিলনা। জোরপূর্বক নূরুল হুদাকে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়েছিল। সাফায়াত হোসেন, ময়না মিয়া ও তুষার এ ব্যাপারে তার পরিবারকে প্ররোচিত করেছে বলে ও জানান নিলী বেগম। সাফায়াত হোসেন বলেন, উভয় পরিবারের সম্মতিক্রমে তার উপস্থিতিতে বিবাহ হয়।
বর্তমানে নূরুলহুদাকে কোন রকমের হুমকি দেননি বলে জানান।

স্থানীয় ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিবাহ হয়। পরে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ও জানেন তিনি।