বনরক্ষীরা অবরুদ্ধ

সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের চান্দেশ্বর টহল ফাঁড়ি এলাকায় তিনটি বাঘের অবস্থান

পূর্বসুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের চান্দেশ্বর টহল ফাঁড়ি এলাকার পুকুর পাড়ে তিনটি বাঘ একত্রে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। গত (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২ টার দিকে টহল ফাঁিড় সংলগ্ন বড় পুকুরের পাশে ওই বাঘ তিনটি অবস্থান নিশ্চিৎ করে বনরক্ষীরা।

চান্দেশ্বর টহল ফাড়ির বনরক্ষী তরুন মজুমদার জানায়, প্রথমে দুটি বাঘ পুকুর পাড় এলাকায় ঘোরাঘোরি শেষে ফাঁড়ি সংলগ্ন রান্না ঘরের কাছে এসে অবস্থান নেয়। পরে সেখানে আরও একটি বাঘ বন থেকে এসে হাজির হয়। বাঘ দেখে তারা হতভম্ব হয়ে যায় এবং দরজা বন্ধ করে টহল ফাঁড়ির ভিতরে অবস্থান করে।

চান্দেশ্বর ফরেষ্ট ক্যাম্প ইনচার্জ ফারুখ শেখ জানায়, তিনটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার ফরেষ্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান নিয়ে এক প্রকার বনরক্ষীদেরকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। কখনও বাঘগুলো পুকুরে নেমে মিষ্টি পানি পান করে কিনারায় বিশ্রাম নেয় আবার কিছুক্ষণ পরে অফিস সংলগ্ন রান্না ঘরের কাছে অবস্থান নেয়। এতে তারা আতংকিত ও অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। শুক্রবার(৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২ টা পর্যন্ত বাঘগুলো রান্না ঘরের পাশে থাকায় রাতে রান্না করা সম্ভব হয়নি।

তিনি আরো জানান, বাঘের আনাগোনার ছবি ও ভিডিও ধারন করতে গিয়ে তাদের হাত-পা কাঁপছিল। তবে বাঘগুলোকে কোনো তাড়া করা হয়নি এবং এ বিষয়টি শরণখোলা স্টেশন ইনচার্জ সুফল রায়কে অবহিত করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই এলাকায় এখনও বাঘ অবস্থান করছে বলে বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে শরণখোলা স্টেশন ইনচার্জ সুফল রায় জানায়, তাঁরা বাঘ আসার বিষয়টি শুনেছেন এবং বনরক্ষীদের ওই এলাকা থেকে বাঘ না যাওয়া পর্যন্ত সাবধানে থাকার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন নভেম্বর মাসে প্রজনন মাস হওয়ায় বাঘ একত্রে থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে।