সেই ‘গোপন বৈঠক’ নিয়ে যা বললেন বিমান সচিব

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রশাসন ও পুলিশের কিছু কর্মকর্তা গোপন বৈঠক করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির বিএনপির যুগ্ম সচিব রুহুল কবির রিজভী।

শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী দাবি করেন, ২০ নভেম্বর রাতে ঢাকার অফিসার্স ক্লাবের চারতলার পেছনের দিকের একটি সম্মেলন কক্ষে ওই ‘গোপন বৈঠক’ হয়েছে।

ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অভিযোগ করে সরকারে বেশকিছু উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করেছেন রিজভী। যার মধ্যে রয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন সচিব মহিবুল হক।

রিজভী অভিযোগ করেন, রাত সাড়ে ৭টা থেকে আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা এ মিটিংয়ে সারা দেশের ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং সেটআপ ও প্ল্যান রিভিউ করা হয়।

রিজভী জানান, ওই মিটিংয়ে পুলিশের একজন ডিআইজি বলেছেন, পুলিশ সূত্রের খবর অনুযায়ী ৩৩টি সিট নৌকার কনফার্ম আছে এবং ৬০-৬৫ টিতে কনটেস্ট হবে, বাকিগুলোতে আর কোনো সম্ভাবনা নেই। কাজেই সাংঘাতিক কিছু করা ছাড়া এটি উতরানো যাবে না।

তবে গোপন বৈঠকের যে অভিযোগ করেছেন রিজভী তা অস্বীকার করেছেন বেসামরিক বিমান চলাচল এবং পর্যটন সচিব মো মহিবুল হক। ব্যাচমেটদের মেলামেশাকে রাজনৈতিক রং দেয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

সচিব মহিবুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা ব্যাচমেটরা মাঝেমধ্যে একসঙ্গে বসি, ভবিষ্যতেও বসব। এটাকে পলিটিসাইজ করার কিছু নেই।

এদিকে অফিসার্স ক্লাবে গোপন বৈঠকের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ।

তিনি বলেন, বিএনপি একটি মিথ্যাচারী দল। তাদের এসব মিথ্যাচারকে গুরুত্ব দেয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। অতীতেও তারা নানা-সময় মিথ্যাচার করেছে। ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির প্রেসিডেন্ট অমিত শাহ’র সঙ্গে খালেদা জিয়ার টেলিফোনে কথা হয়েছে বলে ফলাও করে প্রচার করেছিল। কিন্তু অমিত শাহ নিজেই সে ধরনের কোনো টেলিফোন আলাপের কথা অস্বীকার করেন। মার্কিন একজন সেনেটরের সই নকল করে তারা বিবৃতি দিয়েছিল।