সেই শতাধিক শিক্ষার্থী উদ্ধারে চলছে সাঁড়াশি অভিযান

নাইজেরিয়ায় অপহরণের শিকার ৩শ’র বেশি শিক্ষার্থীকে এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি। এত সংখ্যক শিক্ষার্থী একসঙ্গে নিখোঁজ এর আগে কখনও পাওয়া যায়নি ইতিহাসে। নাইজেরিয়াজুড়ে বইছে শোকের ছায়া। এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন জাতিসংঘসহ বিশ্বের অনেক দেশের নেতারা।

দুর্বৃত্তদের হেফাজতে ঠিক কত শিক্ষার্থী আছে ও কতজন তাদের কাছ থেকে পালিয়ে এসেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী সংখ্যা ৮৩৯। এর মধ্যে ৩৩৩ জন নিশ্চিতভাবে নিখোঁজ।

ক্যাটসিনা রাজ্যের গভর্নর আমিনু বেল্লো মাসারি বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সেনাসদস্যরা অপহৃত শিক্ষার্থীদের অবস্থান চিহ্নিত করে তাদের উদ্ধারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘সেনারা বর্তমানে বিদ্যালয়টির পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে অভিযান চালাচ্ছে। অপহৃত শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে আমরা সম্ভব সবকিছু করব।’

গেল শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে ক্যাটসিনা রাজ্যের কানকারা এলাকায় গভর্নমেন্ট সায়েন্স সেকেন্ডারি স্কুল নামের ওই বিদ্যালয়ে অতর্কিতে হামলা চালায় মোটরসাইকেল আরোহী কয়েকজন বন্দুকধারী। ঘটনাস্থলে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে তাদের বন্দুকযুদ্ধ হয়। বিদ্যালয়ে থাকা আট শতাধিক শিক্ষার্থীর প্রায় অর্ধেক হোস্টেল ছেড়ে পালিয়ে যায়। এরমধ্যে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী নিখোঁজ।

পালিয়ে আসা শিক্ষার্থীদের কয়েকজন তাদের বন্ধু ও সহপাঠীদের জিম্মি করে রাখার কথা নিশ্চিত করেছে বলেও জানান তিনি। উদ্ধারে চলমান অভিযান জোরদার করতে অতিরিক্ত অপারেশনাল ও ইনভেস্টিগেটিভ টিম যোগ দিয়েছে।

দেশটির প্রেসিডেন্ট বুহারি অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারে নিরাপত্তা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। ক্যাটসিনা নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারির নিজ এলাকা। সেখানে প্রায়ই দুর্বৃত্তদের হামলা ও মুক্তিপণ আদায়ে স্থানীয় লোকজনকে জিম্মি বা অপহরণের ঘটনা ঘটে।

জাতিসংঘ জানায়, নাইজেরিয়া দিন দিন শিক্ষার্থী এবং শিশু অপহরণ বেড়েই চলছে। এ ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা যে কোনো মূল্যে বন্ধে দেশটির সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটির মহাসচিব গুতেরেস।