স্ত্রীর লাশের সঙ্গে স্বামীর ছয় রাত

ভালোবাসা জীবনে বয়ে আনে যেমনি আনন্দ। এর বিচ্ছেদও তেমনি বেদনার। পরিপূর্ণতা আস বিয়ের মাধ্য দিয়ে। তবে এক সময় যে পৃথিবী থেকে ওই ভালোবাসার মানুষটিকে ছেড়ে চলে যেতে হবে। এটা সহজভাবে কেউই নিতে পারেনা। তারই প্রমান দিলেন যুক্তরাজ্যের এক দাম্পত্তি। আমৃত্যু একসঙ্গে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রাসেল আর ওয়েন্ডি ডেভিসন। ভালোই চলছিলো তাদের জীবন সংসার। হঠাৎই তাদের মধ্যে বাঁধা হয়ে দাঁড়াই মরণ ব্যধি ক্যানসার।

কিন্তু বছর তিন আগে ওয়েন্ডির শরীরে বাসা বাঁধে ক্যানসার। রাসেল পাশে থেকে সাধ্যমতো স্ত্রীর সেবাযত্ন নেন। কিন্তু ওয়েন্ডি স্বামী রাসেলকে একা রেখে পৃথিবী থেকেই বিদায় নেয়। কিন্তু রাসেল তো স্ত্রী ওয়েন্ডিকে ছাড়তে নারাজ। তাই ওয়েন্ডির মৃত্যুর পরও তার লাশের সঙ্গে ছয় রাত কাটিয়েছেন।

রাসেল জানয়েছে, তিনি মৃত্যু সম্পর্কে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে চান। তার ভাষ্য, আমাদের সমাজে মৃত্যুকে একটি নিষিদ্ধ বিষয় বলে মনে করা হয়। কেউ এটা নিয়ে কথা বলতে চায় না। আমি ওয়েন্ডিকে কবরস্থানে পাঠাতে চাচ্ছিলাম না। আমি সব সময় চাইতাম, সে আমাদের বাসায় থেকে আমাদের দেখাশোনা করুক। তাকে শোবার ঘরে পেতে চাইতাম। যেন একই ঘরে ঘুমাতে পারি।

রাসেল আরো বলেন, চিকিৎসকদের কাছে ওয়েন্ডির লাশ তুলে দিতে আমরা আপত্তি জানাই। তার লাশ আমরা নিজস্ব পদ্ধতিতে গবেষণা করব। আমরা তাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সেরাটাই করব।

এ বিষয়ে রাসেলকে সমর্থন দিচ্ছে যুক্তরাজ্যের আইনও। আইন অনুযায়ী, ডার্বিশায়ারে নিজ বাড়িতে স্ত্রীর লাশ রাখার অধিকার রয়েছে রাসেলের। গত মাসে ডার্বিশায়ারে নিজ বাড়িতে মারা যান ওয়েন্ডি। ১০ বছর ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন তিনি।