স্ত্রী সারাক্ষণ ঝাড়ি দেয়? বশে আনার কৌশল জানুন

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক মধুর হলেও কখনো কখনো তিক্ততা দেখা দেয়। খুনসুটি, ঝগড়া দাম্পত্য জীবনে নিত্য দিনের। কিন্তু যখন একে অপরকে অত্যাধিক শাসনে রাখেন তখনই ঝামেলাটা হয়। এই ধরুন, অনেক পুরুষই অভিযোগ করেন তাদের স্ত্রী সারাক্ষণই ঝাড়ির ওপর রাখে!

স্ত্রী সবার সামনে আপনার উপর চিৎকার করলে দুঃখের শেষ থাকে না। বেদনার বোঝা নিয়ে বনবাসে যাওয়ার কথাও মাথায় আসতে পারে। সব ছেড়ে-ছুঁড়ে হিমালয় রওনা দেওয়ার আগে কিছু পরামর্শ জানুন।

​১. নিউটনের তৃতীয় গতিসূত্র ভুললে চলবে না​

নিউটনের তৃতীয় গতি সূত্র ঝালিয়ে নিন। সেই সূত্রের মূল কথা হল, প্রতিটি ক্রিয়ার সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এই সূত্র সব জায়গাতেই খাটে। নিজের জীবনেও এর ব্যবহার শুরু করে দিন। এরপর থেকে স্ত্রী চিৎকার করে কথা বললে, আপনি তার থেকেও উঁচু স্বরে চিৎকার করুন। এতে স্ত্রী কিছুটা হলেও হকচকিয়ে যাবেন। এই প্রতিরোধের মুখে পড়ে তিনি ব্যাকফুটে খেলতেও পারেন। এতেই শান্তি ফিরবে সংসারে। তবে কখনো কখনো হিতে-বিপরীতও হতে পারে।

২. বুঝিয়ে বললেও ফল মিলতে পারে​

কিছুতেই ফল পাননি। কিন্তু মনে করে দেখুন তো আপনি কী তাকে কখনও যুক্তি দিয়ে বুঝিয়েছেন? কখনও কি চিৎকার করতে বারণ করেছেন? মনে হয় করেননি। বরং কোনও যুক্তি ছাড়াই বারবার বারণ করে গিয়েছেন। তাই ফল পাননি। এখন আর সেই ভুল নয়। পরিবর্তে স্ত্রীকে বলতে হবে যে এই ধরনের অভিব্যক্তি আপনি পছন্দ করেছেন না। এতে লোকসমাজে খারাপ ইমপ্রেশন পড়েছে। এমনকী এই ধরনের আচরণ থেকে আপনিও যে তার থেকে দূরে চলে যাচ্ছেন, এটাও বলতে হবে। এই কথাটুকু বোঝাতে পারলেই দেখবেন তিনি শুধরে যাবেন।

৩. বারবার এক ভুল নয়

আপনার স্ত্রী হয়তো কোনও জিনিস পছন্দ করেন না। এদিকে আপনি নিজের স্বভাবের দোষে সেই কাজটিই নিয়মিত করে চলেন। আর এই কারণেই স্ত্রী উচ্চস্বরে চিৎকার করে আপনাকে তিরস্কার করেন। এখানে অবশ্য দোষ আপনারই। নিজের ভুল না শুধরে নিলে কিন্তু কপালে দুঃখ! তাই যত দ্রুত সম্ভব নিজের অভ্যাসে বদল আনার চেষ্টা করুন। আশা করছি সমস্যার সহজ সমাধান সম্ভব হবে।

​৪. ভালোবাসায় ভরিয়ে দিন​

স্ত্রী চিৎকার করছেন, করতে দিন। তবে আপনি তাকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিন। নিজের সর্বস্ব দিয়ে প্রেম নিবেদন করুন। যখনই সময় পাবেন- ‘ভালোবাসি’ বলতে পিছপা হবেন না। এতেই তার মধ্যে বদল দেখলেও দেখতে পারেন। মনে রাখবেন, এই দুনিয়ায় ভালোবাসার মতো শক্তিশালী বন্ধন আর কিছুই নেই। ভালোবাসা থাকলে বাঘ, সিংহের সঙ্গেও বন্ধুত্ব পাতানো যায়। আর ইনি তো আপনার স্ত্রী।