হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে উপহারের ঘরে ফাটল, জোড়াতালিতেও হচ্ছে না কাজ

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদের জন্য দেয়া প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফাটলের বিভিন্ন অংশে একাধিকবার সিমেন্ট দিয়ে জোড়াতালি দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কোনো ফল হয়নি। ফলে দেয়াল ধসে পড়ার আশঙ্কার মধ্যে বসবাস করছেন বলে অভিযোগ উপকারভোগীদের।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের কালনী-কুশিয়ারা নদীর তীর ঘেঁষে তৈরি করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৫১টি ঘর। প্রায় মাস দু’য়েক আগে উপকারভোগীদের মাঝে ঘর হস্তান্তর করা হয়। এরপর থেকে কিছু পরিবার সেখানে বসবাস শুরু করে। এর মধ্যে ৫টি ঘরের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। বাকি ঘরগুলো তালাবদ্ধ অবস্থায় আছে। নিম্নমানের কাজের ফলে ঘর নির্মাণের কয়েকদিনের মধ্যেই দেয়ালের বিভিন্ন অংশে ফটল দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ উপকারভোগীদের।

তারা জানান, কয়েকদিন পরপর নির্মাণ শ্রমিকরা এসে সিমেন্ট দিয়ে ফাটল বন্ধ করার চেষ্টা করছে। তাতেও কাজ হচ্ছে না। এমনকি ঘরগুলোর বাসিন্দারা ঘরের চারপাশে মাটি কেটে ভরাট করে বসবাস শুরু করেন।

ভুক্তভোগী শচিন্দ শীল ও বিলকিস বেগমের ঘরে গিয়ে দেখা যায়, ঘরের চারদিকে দেয়ালের গোঁড়ায় ফাটল। ধসে পড়ার আতঙ্কের মধ্যে দিন যাপন করছেন তারা।

তারা বলেন, ‘আমরা সন্তানদের নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে রাত্রী যাপন করি। দেয়াল ধসে পড়লে হতাহতের আশঙ্কা রয়েছে। কয়েকদিন আগে নির্মাণ শ্রমিকরা এসে ফাটলগুলোতে সিমেন্ট দিয়ে যায়। নিম্নমানের কাজের ফলে ফাটল দেখা দিয়েছে বলে জানান তারা।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মতিউর রহমান খানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আসলে এটি ঠিক ফাটল নয়, কিছু অংশে চির ধরেছে। নতুন মাটি, পাশাপাশি অতিবৃষ্টি হওয়ায় মাটি দেবে যাচ্ছে। বিষয়টি অনেক দুশ্চিন্তায় ফেলেছে।’

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ কিছু অংশে গাইড ওয়াল দেয়া হয়েছে। বাকি অংশটুকুতে গাইড ওয়াল দেয়ার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আশা করা যায় এতে সমস্যার সমাধান হবে।’

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় প্রথম ধাপে ৮৮টি এবং দ্বিতীয় ধাপে ৩০টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়। ঘরগুলো নির্মাণ করে উপকারভোগীদের মধ্যে বিতরণ করা হলেও ১৫টি ঘর তালিকায় সমস্যা থাকার কারণে বিতরণ করা হয়নি।