‘হাকালুকি হাওর’ পাড়ের জুড়ী নদীতে অপরিকল্পিত বাঁধ, অবশেষে অপসারণ

এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তর হাওর “হাকালুকি” হাওরপাড়ের জুড়ী নদীর কন্টিনালা অংশের রাবার ড্যাম সংলগ্ন স্থানে অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ নির্মাণ করায় নদী শাসনসহ হাজার হাজার একর কৃষি জমি হুমকির মুখে। ইতোমধ্যে অপরিকল্পিত বাঁধটি অপসারণের দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করেছেন এলাকাবাসী ও কৃষকগণ।
এদিকে ভুক্তভোগী কৃষকরা বাঁধটি দ্রুত অপসারণের দাবিতে বাঁধের উপর দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করেছেন।

জানা গেছে, মাস দুয়েক পূর্বে জুড়ী নদীর কন্টিনালা অংশের রাবার ড্যাম সংলগ্ন স্থানে তৈয়ব আলী গংদের নিকট থেকে ১৫ শতক জমি ক্রয় করে মূল নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে দেওয়া হয়। আর একই স্থানে মূল নদীর উপর অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ফলে হাজার হাজার একর কৃষিজমি বিরান ভ‚মিতে পরিণত হওয়ার ও হাকালুকি হাওর হুমকির মুখে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী ভুক্তভোগী কৃষকরা বলেন, জায়ফরনগর ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামের কিছু সংখ্যক লোক এ বাঁধটি নির্মাণ করেন। বাঁধ নির্মাণকারীর অন্যতম শাহপুর এলাকার শাহিন খান বলেন, আমাদের কয়েকটি এলাকার বেশ কিছু জমি গভীর হওয়ায় ফসল উৎপাদন করা যায় না। যার ফলে আমরা কিছু জমি ক্রয় করে এই স্থানে নিজ অর্থায়নে একটি বাঁধ নির্মাণ করি এবং বাঁধের পাশ দিয়ে একটি খাল খনন করি যাতে পলিমাটি এসে আমাদের এই জমি গুলো ভরাট হয়। বাঁধ নির্মাণ, জমি ক্রয় ও খননকাজে আমাদের প্রায় ৫০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।

এ ব্যাপারে জায়ফরনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুম রেজা জানান, কিছু জায়গা ক্রয় করে খালটি খনন ও বাঁধটি সাময়িক নির্মাণ করেছেন শাহপুর এলাকাবাসী। প্রয়োজনে যেকোনো সময় বাঁধটি অপসারণ করা হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবি) মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তারুজ্জামান বলেন, “চলমান নদীর উপর বাঁধ নির্মাণ অবৈধ”। যারা নদীর উপর অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে নদীর গতি পরিবর্তন করেছে খোঁজ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ কর হবে।

বৃহস্পতিবার বাঁধটি দ্রুত অপসারণ করা হয়েছে।