হাতীবান্ধায় বন্যায় ফ্লাড বাইবাস ও ভেসরীর মোড়ের বাঁধ ভেঙ্গে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বুধবার দুপুরে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে। উজান থেকে নেমে আসা পানি তীব্র বেগে বাংলাদেশের তিস্তা নদীতে প্রবেশ করছে। পানির তোড়ে হাতীবান্ধা ফ্লাড বাইবাস ভেঙ্গে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আরো নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

বন্যার প্রবল স্রোতে হাতীবান্ধা শিংগীমারী ইউনিয়নের ধুবনী গ্রামের ভেসরীর মোড়ের অস্থায়ী বাঁধও ভেঙ্গে গেছে। বড়খাতা থেকে গড্ডিমারী হয়ে হাতীবান্ধা শহরে যাওয়ার পাকা সড়কটি তলিয়ে যাওয়ায় ওই এলালার লোকজন ভোগান্তিতে পড়েছে। এতে তিস্তা তীরবর্তী কয়েক হাজার একর জমির ফসল ও কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড তিস্তা ব্যারাজের সবকটি গেটে খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।

পানি বৃদ্ধির ফলে পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, বড়খাতা,গড্ডিমারী, শিংগীমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার শৌলমারী, ভোটমারী নোহালী, চর বৈরাতিসহ তিস্তা তীরবর্তী কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আকস্বিক বন্যার খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে বিভিন্নভাবে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকার লোকজনের দু:খ দূর্দশার খবর দেখতে ছুটে আসেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর। সঙ্গে ছিলেন হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিন, পিআইও ফেরদৌস আহমেদ ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগন। হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিন বলেন, এবারের আকস্বিক বন্যায় অস্বাভাবিক ভাবে পানি বৃদ্ধি পেয়েছ। এতে ফ্লাড বাইবাস ও ভেসরীর মোড়ের অস্থায়ী বাঁধ ভেঙ্গে গেছে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বন্যা কবলিত এলাকার লোকজনের জন্য ৫০ মেট্রিক টন চাল, ১০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বন্যা দুর্গত এলাকার জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে।