বন্ধ থাকা পাবনার ঈশ্বরদী রেশম বীজাগার আড়াই বছর পর চালু

পাবনায় বন্ধ থাকা ঈশ্বরদী রেশম বীজাগার অবশেষে আড়াই বছর পর চালু হয়েছে। গত সোমবার থেকে এই রেশম বীজাগারের ২২ জন শ্রমিকদেরও কাজে যোগদানের অনুমতি দেওয়ায় তারা কাজে ফিরেছেন।

তবে এই ২২ জনের বাইরে ৫জন শ্রমিকের বয়স ষাটোর্ধ হওয়ায় তাদের কাজ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।

পাবনার ঈশ্বরদী রেশম বীজাগার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে শ্রমিক আন্দোলনের অজুহাতে বন্ধ রাখা হয় বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে পরিচালিত ঈশ্বরদীর একমাত্র প্রতিষ্ঠান ঈশ্বরদী রেশম বীজাগার। সেময় ছাঁটাই করা ৫জন শ্রমিকদের কাজে নেওয়ার দাবীতে কর্মবিরতির ডাক দিলে কর্তৃপক্ষ সকল শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করে দেয়।

প্রতিষ্ঠানটিতে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের কারণে জমিতে তুঁত চাষ, বীজাগারে পলু পোকা পালন, রেশম গুটি উৎপাদনসহ সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তবে ফার্ম ম্যানেজার, মাঠকর্মী, অফিস সহকারী ও পাহারায় নিয়োজিত ৮ জন আনসার সদস্যদের বেতন ভাতা বাবদ প্রতি মাসে আড়াই লাখ টাকা সরকারি ব্যয় বরাদ্দ চলমান ছিল।

এসব বিষয় নিয়ে গত বছর ডিসেম্বর মাসে দৈনিক একটি পত্রিকায় বিশেষ রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। কর্তৃপক্ষ জানান, মুলত ওই রিপোর্টের পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি চালু করার চেষ্টা শুরু হয়।

ধারাবাহিক প্রচেষ্টার পর অবশেষে রেশম বীজাগারের কয়েকজন কর্মকর্তা রেশম মাঠ পরিদর্শন ও সার্বিক বিবেচনায় প্রতিষ্ঠানটি চালুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সোমবার থেকে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন।

এবিষয়ে ঈশ্বরদী রেশম বীজাগারের শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. আলাউদ্দিন ফকির বলেন দীর্ঘ আড়াই বছর পর আমরা কাজে যোগদান করতে পেরে অনেক খুশি। তিনি গণমাধ্যমের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

ঈশ্বরদী রেশ বীজাগারের ফার্ম ম্যানেজার সালমা বানু জানান, যেহেতু প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম আড়াই বছর ধরে বন্ধ ছিল তাই এখানে তুঁত চাষ, বীজাগারে পলু পোকা পালন, রেশমগুটি উৎপাদন আগের অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে একটু সময় লাগবে।

তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানের ৬ টি দালান ও যন্ত্রপাতিগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে আছে এগুলো পর্যায়ক্রমে মেরামত করে প্রতিষ্ঠানটিকে আগের অবস্থানে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।