২০ দলীয় জোট ছাড়ল যেসব শরিক দল

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ছাড়ার ঘোষণা দিল আরও একটি দল। শুক্রবার বিকালে এক প্রেস ব্রিফিং থেকে জোট ছাড়ার ঘোষণা দেন খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন। এ নিয়ে বিএনপির জোট ছেড়ে গেল পাঁচটি শরিক দল।

ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘রাজনৈতিক জোট ইস্যুকেন্দ্রিক গঠিত হয়। জোট কোনো স্থায়ী বিষয় নয়। খেলাফত মজলিস ২০ দলীয় জোটে দীর্ঘ ২২ বছর যাবত আছে। ২০১৯ সাল থেকে ২০ দলীয় জোটের দৃশ্যমান রাজনৈতিক তৎপরতা ও কর্মসূচি নেই। ২০১৮ সালে জাতীয় ঐকফ্রন্ট গঠনের মধ্য দিয়ে ২০ দলীয় জোটকে কার্যত রাজনৈতিকভাবে অকার্যকরও করা হয়। এমতাবস্থায় আদর্শিক, সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায়, ২০১৯ সালের শূরা বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, খেলাফত মজলিস আজকের মজলিসে শূরার অধিবেশনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, খেলাফত মজলিস একটি আদর্শিক রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে স্বকীয়-স্বাতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে ময়দানে ভূমিকা রাখবে এবং এখন থেকে ২০ দলীয় জোটসহ সব রাজনৈতিক জোটের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করছে।’

তবে মজলিসের জোট ছাড়ার পেছনে সরকারকে দায়ী করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, জোট ছাড়ার সবচেয়ে বড় কারণ সরকারের পক্ষ থেকে দলগুলোর প্রতি চাপ। এছাড়া দলগুলোর মধ্যে বিরোধও রয়েছে। একটি অংশ চলে গেলেও আরেকটি অংশ বিএনপির সঙ্গে রয়েছে। তিনি বলেন, ইসলামী দলগুলোর নেতারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মসজিদের ইমাম কিংবা মাদ্রাসার শিক্ষক। তারা তাদের প্রফেশন ধরে রাখার জন্য অনেক সময় বাধ্যও হন এমন সিদ্ধান্ত নিতে।

সর্বশেষ চলতি বছরের গত ১৪ জুলাই জোট ছাড়ে শরিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম। এর আগে ২০১৯ সালের ৬ মে জোট ছাড়েন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) আন্দালিব রহমান পার্থ। তার আগে ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর বিএনপি জোট ছাড়ে লেবার পার্টি এবং তারও আগে ২০১৬ সালের ৭ জুন বিএনপির জোট ছেড়ে যায় মুফতি ফজলুল হক আমিনীর ইসলামী ঐক্যজোট।

এদিকে জোটের আরেক শরিক মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীকের কল্যাণ পার্টিও বিএনপি জোট ছেড়ে যাওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছে। অপরদিকে কল্যাণ পার্টি ছাড়াও কর্নেল (অব.) অলি আহমেদের লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি-এলডিপিও জোটে থাকা না থাকা নিয়ে আলোচনা শোনা যাচ্ছে।