৪ মাস আগে পলাশের সঙ্গে ডিভোর্স হয়েছে : সিমলা

‘ম্যাডাম ফুলি’ খ্যাত বাংলা সিনেমার নায়িকা সিমলা। সেই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। সেই থেকে ‘ম্যাডাম ফুলি’ নামেই চলচ্চিত্রে পরিচিতি সিমলার।

সাম্প্রতিক সময়ে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টার ঘটনার পর থেকে ফের আলোচনায় এসেছেন চলচ্চিত্রের এই নায়িকা।

ঘটনার পর থেকে বিমান ছিনতাই চেষ্টা করতে যাওয়া পলাশের সঙ্গে নায়িকা সিমলার একাধিক ছবি প্রকাশ পায় গণমাধ্যমে। পলাশের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সিমলা পলাশের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন।

এদিকে সিমলার কোনো খোঁজ না থাকায় এ নিয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে শেষমেশ সিমলার খোঁজ মিলেছে। তিনি নিজেই পলাশের সঙ্গে বিয়ের কথা স্বীকার করেছেন। এমনকি দাবি করেছেন, গত ৪ মাসে আগে তাদের ডিভোর্সও হয়ে গেছে।

এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘পলাশের মানসিক ভারসাম্যতা হারিয়ে ফেলার কারণেই আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, তাদের প্রথম দেখা হয় ২০১৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর। তার নিজের অভিনীত একটি চলচ্চিত্রের পরিচালক রাশেদ পলাশের বাসার একটি অনুষ্ঠানে প্রথম পরিচয়। এরপর তারা সম্পর্কে জড়িয়ে যান। ২০১৮ সালের ৩ মার্চ তাদের বিয়ে হয়। পরে বছরের শেষ দিকে অক্টোবরে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।

কেন বিবাহ বিচ্ছেদ সে প্রশ্নের জবাবে সিমলা বলেন, কিছু সমস্যা ছিলো বিধায়ই ডিভোর্স হয়েছে। তার মানসিক সমস্যাই এর মূল কারণ।

পলাশকে কবর নামের একটি শর্ট ফিল্মের প্রযোজক হিসেবেই চিনতেন বলে জানান সিমলা।

তিনি আরও বলেন, ‘উনার সঙ্গে তো আমার ডিভোর্স হয়ে গেছে। আমি এখন কি করতে পারি? কি করা উচিত? সে যে কাজ করেছে তা সত্যিই ক্ষতিকর একটি কাজ। এ কারণে সরকার যদি আমাকে কোনো কিছু জিজ্ঞাসা করে তাহলে আমি অবশ্যই তাদের সহায়তা করব।’

এদিকে, সোমবার দুপুরে পলাশ মাহমুদের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এরপর লাশটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

নিহতের কোনো স্বজন না পাওয়ায় লাশটি কাউকে বুঝিয়ে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে, সর্বশেষ রাত সাড়ে ৯টায় জানা গেছে, পলাশের বাবা নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের দুধঘাটা গ্রামের পিয়ার জাহান সর্দারকে চট্টগ্রামে আনা হচ্ছে।

যদিও সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, ছেলের লাশ গ্রহণ করবেন না।