শেখ রাসেলের আদর্শ ছড়িয়ে দিতে হবে শিশুদের মাঝে : স্পীকার

জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কনিষ্ঠ পুত্র, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত আদরের ছোটভাই শিশু শেখ রাসেলকে মাত্র ১০ বছর বয়সে ১৯৭৫ -এর ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটে হত্যা করা হয়।

‘মায়ের কাছে নিয়ে যাবো’ -বলে সেদিন শিশু রাসেলকে হত্যা করা হয়। আজ শিশু রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন। তিনি বেঁচে থাকলে আজ নিজেকে দেশ ও জাতির সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতেন।

নব প্রজন্মের শিশুদের মাঝে শেখ রাসেলের আদর্শ ছড়িয়ে দিতে হবে। এক্ষেত্রে, অভিভাবক ও শিক্ষকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের উদ্যোগে ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২২’ উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, শিশু মেলা ও সান্ধ্যকালীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পীকার মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) এসব কথা বলেন। এসময় স্পীকার বিজয়ী শিশুদের মাঝে ভার্চুয়ালি পুরস্কার বিতরণ করেন।

স্পীকার বলেন, শিশু রাসেল খুবই চঞ্চল ছিলেন। পড়াশোনা, সাইকেল চালানো, খেলাধুলা নিয়ে তিনি মেতে থাকতেন। সে ছিলো সকলের চোখের মণি। শেখ রাসেল ছিল বন্ধুবৎসল, গরিবদের জন্য ছিল তার অপার ভালবাসা।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে শিশুদের কল্যাণে শিশু আইন প্রণয়ন করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় শিশুনীতি, শিশু শ্রম নিরসন নীতিসহ বহু কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছেন। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে অধিবেশন দেখার জন্য শিশু গ্যালারি রয়েছে। আজ শিশু রাসেলের জন্মদিনে কোন শিশু যেন নির্যাতন, সন্ত্রাস ও নৃশংসতার শিকার না হয় এবং সুষ্ঠু, নিরাপদ পরিবেশে যেন তারা বেড়ে উঠতে পারে সে উদ্দেশ্যে সকলকে কাজ করার আহবান জানান স্পীকা।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, শিশুরা দেশ ও জাতির সম্পদ। শিশুদের ভালবাসতে হবে। তাদের কথা ধৈর্য সহকারে শুনতে হবে। তাদের কথা বলার সুযোগ দিতে হবে। বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের প্রয়োজনের প্রতি দৃষ্টি দিতে হবে। শ্রমে নিয়োজিত, দারিদ্র্য জর্জরিত শিশুদের কল্যাণে সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তশালীদের এগিয়ে আসতে হবে।