অস্ট্রেলিয়াকে ১৮৩ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
শুরু আর শেষটা যেন মিলে গেল। ধাক্কা খেয়ে বাংলাদেশের ইনিংসের যাত্রা শুরু হয়েছিল। অসি পেসারদের তোপে শেষটা হলো বাজে! ১৮১ রানে ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর আর ১ রান তুলতে পেরেছেন টাইগাররা। পুরো ৫০ ওভার খেলতে পারেনি মাশরাফি বাহিনী। ৪৪.৩ ওভারে ১৮২ রানে অলআউট বাংলাদেশ। জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সামনে ১৮৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছুড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।
কেনিংটন ওভালে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিদায় নেন সৌম্য সরকার। জস হ্যাজেলউডের বলে খোঁচা দিতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ম্যাথু ওয়েডের হাতে ধরা পড়লেন বাংলাদেশের এই ওপেনার। ১১ বল খেলে ৩ রান করতে পেরেছেন সৌম্য।
তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা ইমরুল কায়েসের ওপর আস্থা ছিল সবার। তামিমের সঙ্গে জুটি বেধে যদি বড় কোনো ইনিংস উপহার দেন! কিন্তু যারপরনাই ব্যর্থ হলেন ইমরুল কায়েস। প্যাট কামিন্সের বলে বলতে গেলে নিজের উইকেটটাই বিলিয়ে দিয়ে আসলেন ইমরুল। অফ স্ট্যাম্পের ওপর আসা বলটিকে কভারে পয়েন্টে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যারোন ফিঞ্চের হাতে ক্যাচ তুলে দিলেন তিনি। দলীয় ৩৭ রানে পড়ল দুই উইকেট।
বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ের অন্যতম ভরসার প্রতীক মুশফিকুর রহীম। আগে ম্যাচেও তার প্রমাণ রেখেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেটা আর পারলেন না মুশফিক। ব্যক্তিগত ৯ রানেই থামলেন তিনি। ময়েজেস হেনরিকসের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন বাংলাদেশি এই উইকেটরক্ষক।
আগের ম্যাচে খেলতে নেমে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি সাকিব আল হাসান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০ রান করেই সাজঘরে ফিরেছিলেন তিনি। আজ দেখেশুনেই খেলছিলেন এই অলরাউন্ডার। সম্ভাবনা জাগিয়েও ফিরে গেলেন সাকিব। ট্রাভিস হেডের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি। বিদায়ের আগে ৪৮ বলে দুটি চারে ২৯ রান করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
অ্যাডাম জাম্পাও বল হাতে ঝড় তুললেন। ব্যক্তিগত প্রথম ওভারেই সাব্বির রহমান রুম্মনকে ফেরান তিনি। ৮ রান করে স্টিভেন স্মিথের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন সাব্বির। তার বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহও বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারলেন না। মাহমুদউল্লাহও ফিরেছেন জাম্পার বলে বোল্ড হয়ে। তিনিও করেছেন ৮ রান।
উদ্বোধনী ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করেছিলেন তামিম। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও দারুণ ব্যাটিং করেছেন তিনি। কিন্তু আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হলো বাংলাদেশের ড্যাশিং এই ওপেনারকে। ৫ রানের জন্য টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি হলো না তামিমের। ৯৫ রানেই থামেন তিনি। মিচেল স্টার্কের বলে হ্যাজেলউডের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তামিম। তার ১১৪ বলের ইনিংসটি সমৃদ্ধ ৬টি চার ও তিনটি ছক্কায়।
অস্ট্রেলিয়ার সেরা বোলার মিচেল স্টার্ক। ৮.৩ ওভারে দুটি মেডেনসহ ২৯ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। অ্যাডাম জাম্পা নিয়েছেন দুটি। একটি করে উইকেট দখলে নিয়েছেন প্যাট কামিন্স, ময়েজেস হেনরিকস, ট্রাভিস হেড ও জস হ্যাজেলউড।
প্রসঙ্গত, নিজেদের প্রথম ম্যাচে জিততে পারেনি দুদলই। উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটে পরাজিত হয়েছিল বাংলাদেশ। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩০৫ রান তুলেছিলেন টাইগাররা। এই লক্ষ্য মামুলি বানিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। ১৬ বল হাতে রেখেই মাত্র ২ উইকেট খুইয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে স্বাগতিকরা।
অপরদিকে বৃষ্টির কারণে জয় কিংবা পরাজয়- কোনো স্বাদই পায়নি অস্ট্রেলিয়া। দফায় দফায় বৃষ্টি হানা দিলে শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। এজবাস্টনে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ২৯১ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ৯ ওভারে ৩ উইকেটে ৫৩ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপর নামে বৃষ্টি। মাঠে আর কোনো ওভারই গড়ায়নি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন