ত্বক কোমল রাখতে গাজরের ব্যবহার

সুন্দর ত্বক কিংবা চুলের জন্য গাজর বেশ উপকারী। গাজরে রয়েছে এক ধরনের আন্টিঅক্সাইড যা মুখের বয়সের ছাপকে দূরে রাখে এবং ত্বকের ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা করে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে যেকোনো ধরনের ত্বক ও চুলের ক্ষেত্রে গাজর ব্যবহার করা যায়। গাজর মুখের ক্ষতিকর টক্সিনকে দূর করে ত্বক সতেজ রাখতে সাহায্য করে।

ত্বককে কোমল করতে গাজর এর ভুমিকা অনেক বেশি। ২ টি ফ্রেশ গাজর নিয়ে এতে ১ টেবিল চামুচ কাচা দুধ, ১ টেবিল চামুচ মধু, ও কয়েক ফোটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এইবার ফেইস ওয়াস দিয়ে মুখ ধুয়ে এই পেস্ট সম্পুর্ন মুখে লাগিয়ে নিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর এটাকে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বক হাইড্রেট হবে এবং ত্বকে আসবে প্রাকৃতিক কোমলতা।

মুখের বলিরেখা দূর করতে গাজরের রস ভালো টোনার হিসেবে কাজ করে। একটা গাজরকে পেস্ট করে মুখে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দিন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। রোদে পোড়া দাগ দূর করতে গাজর এর সাথে আলু পেস্ট করে মুখে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।

ঝরঝরে সুন্দর চুল পাওয়ার জন্য একটা গাজর কে পানি দিয়ে কিছুক্ষণ সেদ্ধ করে ব্লেন্ড করে নিন। এবার এর সাথে আধা কাপ টকদই ও এবং একটি ফেটানো ডিম দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার এটাকে চুলে লাগিয়ে ১ ঘন্টা অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। চুল শুকানোর পর পার্থক্যটা নিজেই অনুভব করতে পারবেন।

সেদ্ধ করা গাজরকে ব্লেন্ড করে এর সাথে কয়েক ফোটা লেবুর রস, ১ টেবিল চামুচ মধু ও কয়েক ফোটা অলিভ ওয়েল মিশিয়ে মিশ্রন তৈরী করুন। এবারভ এটাকে সম্পূর্ণ মুখে, ঘাড়ে এবং গলায় লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ২০ মিনিট পর কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বকে স্বাভাবিক উজ্জল্য আসবে।

ফ্রেশ গাজরের রস এর সাথে গোলাপ জল মিশিয়ে এটাকে বোতলে সংরক্ষন করুন। এবার এটাকে স্প্রে বোতলে ভরে মুখে ব্যাবহার করুন। এটা মুখের যেকোনো ড্যামেজ সারাতে সাহায্য করবে।