গাজীপুরে মেয়র মান্নানের বৈঠক বয়কট করলেন কাউন্সিলররা
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র এম এ মান্নানের ডাকা বৈঠক বয়কট করেছেন বেশির ভাগ কাউন্সিল। বৃহস্পতিবার দুপুর ১১টার দিকে করপোরেশনের সভাকক্ষে এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কোরাম পূর্ণ না হওয়ায় বৈঠক হয়নি।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনে মোট কাউন্সিলরের সংখ্যা ৭৬ জন। এর মধ্যে ১৮ থেকে ২০ জন বৈঠকের জন্য নির্ধারিত সময়ে করপোরেশেনের সভাকক্ষে উপস্থিত হলেও বাকিরা আসেননি। কোরামপূর্ণ হওয়ার জন্য দুই তৃতীয়াংশ কাউন্সিলর উপস্থিতি থাকতে হয়।
বৈঠকে যোগ না দেয়া একাধিক কাউন্সিলরের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগপন্থী কাউন্সিলরা দলীয় কারণে মেয়র মান্নানের বৈঠক বয়কট করেছেন। তারা বলছেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সারাদেশে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে যে নাশকতা, তাণ্ডব চালানো হয়েছে গাজীপুরে এমএ মান্নান তার সংগঠক ছিলেন। তার মতো একজন নাশকতাকারীর সঙ্গে বৈঠকে বসা নৈতিকতা বিবর্জিত কাজ। তাই তারা মেয়রের ডাকা বৈঠক বয়কট করেছেন। তবে বিএনপিপন্থী কাউন্সিলরা মাসিক বৈঠকে যোগ দিতে নির্ধারিত সময়ে সভাকক্ষে এসেছেন।
২৮ মাস বরখাস্ত থাকার পর আইনি লড়াইয়ে বিজয়ী হয়ে গত ১৮ জুলাই মেয়রের চেয়ারে বসেন এম এ মান্নান। যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা হামলা মামলায় ২০১৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মান্নানকে ঢাকার বারিধারার বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রায় ২২ মাস কারাগারে ছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে ৩০টি মামলা রয়েছে। সবকটি মামলায় তিনি জামিন নিয়েছেন। আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি নিয়ে তিনি ফের মেয়রের দায়িত্ব নেন।
এমএ মান্নানের অবর্তমানে ২০১৫ সালের ৮ মার্চ থেকে প্যানেল মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্বে ছিলেন।
২০১৩ সালের ৬ জুলাই নবগঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হন বিএনপি নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। তবে সেই নির্বাচনে বেশির ভাগ ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন