আজব কাণ্ড, বৃষ্টির জন্য এ কী করলেন কৃষকরা!
ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের। রাজ্যটির ইন্দোরে দীর্ঘ দিন বৃষ্টির দেখা নেই। চাষের জমি ফেটে একেবারে চৌচির অবস্থা। অনাবৃষ্টিতে নাভিশ্বাস ইন্দোরের কৃষকরা বর্ষার জন্য আজব কাণ্ড করে বসলেন। এতেই নাকি বৃষ্টির দেবতা ইন্দ্রর কৃপা তারা পাবেন।
এই অন্ধবিশ্বাসে দুই কৃষকের বিয়ে দিলেন তারা। ভারতে সমলিঙ্গে বিবাহ বেআইনি। তবে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে দুই পুরুষের বিয়ে আটকানো গেল না। একেবারে নিয়ম মেনে সব কাজ হয়। বিয়ের উপলক্ষ্য, বৃষ্টি আনা। পাত্রদের নাম সাকারাম আহিরার এবং রাকেশ আদজান। দুজনের স্ত্রী, সন্তান রয়েছে। তবুও তাদের কেন এমন অনুষ্ঠানে আসতে হল।
প্রশাসন সূত্রে খবর, এমন বিয়েতে তাদের মত না থাকলেও সমাজের চাপে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়। এলাকার লোকজন দুজনকে বুঝিয়েছিলেন এমন কিছু হলে ঈশ্বর তাদের দিকে তাকাবেন। বর এবং কনেপক্ষের হয়ে কয়েকজন ওই বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন। নাচ, গান, খাওয়া-দাওয়ায় জমে ওঠে বিয়ের আসর। কৃষকদের মধ্যে অভাব থাকলেও, বিয়ের অনুষ্ঠানে অবশ্য সেসব বোঝা যায়নি।
পুরোহিতের সামনে রীতিমতো হোম, যজ্ঞ, মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে বিয়ে শেষ হয়। নিজেদের স্ত্রী, সন্তান এবং শতাধিক উৎসাহীর সামনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সাকারাম এবং রাকেশ। অনুষ্ঠানের আয়োজক রমেশ সিং তোমর জানান, পরিকল্পনাটা তার। পাত্ররা তার কাছেই কাজ করেন। দেবতা ইন্দ্রের নজর কাড়ার জন্য এই পদক্ষেপ।
দেবরাজ ইন্দ্রকে বৃষ্টির দেবতা বলা হয়। কৃষকদের ধারণা এবার হয়তো ভগবানের কৃপা বৃষ্টি হয়ে ঝরবে। তবে বিয়ে হলেও সব নিয়ম ছাদনাতলাতেই শেষ হয়। বাসর ভাঙার পর দুই পাত্র যে যার মতো স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে বাড়িতে ফিরে যায়।
এখন ভগবান মুখ ফিরে তাকাবেন কিনা সেই উত্তর জানা নেই। তবে ইন্দোরের বাসিন্দারা একদিন আনন্দ করার সুযোগ পেলেন। সম্প্রতি কৃষকদের আত্মহত্যায় শিরোনামে এসেছে মধ্যপ্রদেশ। ইন্দোরের ঘটনা বুঝিয়ে দিল, যেখানে বৃষ্টির জন্য এমন কুসংস্কার সেখানে কৃষকদের হাল না ফেরাটাই স্বাভাবিক।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন