দিল্লিতে নারীর পর কুকুর ছানাকে শারীরিক নির্যাতন!
ভারতের রাজধানী শহর দিল্লিতে শারীরিক নির্যাতন থেকে রেহাই নেই কুকুর ছানাদেরও! এবার কুকুরছানাকে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যায় অভিযুক্ত ৩৪ বছর বয়সী এক ট্যাক্সিচালক! ওই ব্যক্তি একটি মেয়ে কুকুর ছানাকে শারীরিক নির্যাতন করে! অতিরিক্ত রক্তপাতের ফলে মারা যায় কুকুর ছানাটি!
ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির নারাইনা এলাকায়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, নির্যাতন ও রক্তপাতের ফলেই কুকুর ছানাটির মৃত্যু হয়েছে। নরেশ কুমার নামের ওই ধর্ষক ট্যাক্সি চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন এক পশুপ্রেমী। এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও করেছেন তিনি। অভিযুক্ত নরেশের স্ত্রী জানিয়েছেন, তার স্বামী বিকৃত স্বভাবের। এমনকি তাঁর ওপরও তার স্বামী নরেশ একইভাবে শারীরিক অত্যাচার করে। স্বামীর বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন নরেশের স্ত্রী।
জানা গিয়েছে, ২৫ আগস্ট রাতে নেশার ঘোরে দুই সন্তানের বাবা নরেশ ওই কুকুর ছানাটিকে শারীরিক নির্যাতন করে। কুকুরটিকে এলাকার লোকজন জেনি বলে ডাকতেন। পরে বড় ভাই সুরেশের সাহায্যে কুকুরটিকে একটি বস্তায় ভরে দুই কিলোমিটার দূরে নারাইনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকার একটি নর্দমায় ফেলে দিয়ে আসে নরেশ। স্থানীয় পশুপ্রেমী অভিষেক কুমার কুকুর ছানাটিকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা নরেশকে চেপে ধরতেই সে অপরাধের কথা স্বীকার করে নেয়।
অভিষেকের অভিযোগের ভিত্তিতে কুকুরটির দেহ তুলে নিয়ে ময়নাতদন্তও করা হয়। পরের দিন অর্থাৎ ২৬ আগস্ট পশু চিকিৎসকরা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জমা দিলেও, পুলিশ তা দেখাতে চায়নি বলে অভিযোগ। ঘটনার ৪ দিন পর ২৯ আগস্ট মঙ্গলবার এই ঘটনায় অভিষেকের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি এফআইআর দায়ের করে পুলিশ।-সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন