রাজধানীর কামরাঙ্গীর চরে মেয়ে পরিচয়ে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে বাসায় রেখে টানা ৪ মাস ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শামীম কাজী (৪০) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী এবং অভিযুক্তের বাড়ি শরিয়তপুরের বেদেরগঞ্জে।

পুলিশ শামীম কাজীকে গ্রেফতার করেছে।

শুক্রবার ওই কিশোরীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই বাচ্চু মিয়া এ তথ্য জানান।

কামরাঙ্গীর চর থানার এএসঅাই নাজমা আক্তার বলেন, ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীকে ফকিরাপুলের একটি বাসায় কাজ করার জন্য তার মা রেখে যান। পূর্ব পরিচিত হওয়ায় শামীম ওই কিশোরীকে তার বাসায় নিয়ে রাখার প্রস্তাব দেন।
শামীমের পরিবারও গ্রামের বাড়িতে থাকেন।

তিনি বলেন, শামীম পুলিশকে জানিয়েছে, পরে ওই কিশোরীকে কামরাঙ্গীর চরের ৮ নম্বর গলিতে ভাড়া বাসায় নিজের মেয়ে পরিচয় দিয়ে রাখেন শামীম। সেখানে তাকে টানা চারমাস ধরে ধর্ষণ করেন শামীম।

গত ২৮ মার্চ শামীমের বাসার বাড়িওয়ালা তাদেরকে অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে দেখে বিষয়টি থানায় জানান।

এর পরের দিন ২৯ মার্চ কিশোরীর চাচা বাদী হয়ে কামরাঙ্গীর চর থানায় মামলা (মামলা নং ৩৫) করেন। মামলা হওয়ার পরপরই শামীমকে গ্রেফতার করা হয়। আর মেয়েটিকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।