বিশ্বকাপে সুন্দরী ব্রাজিলিয়ান নারী রেফারির ইতিহাস

বিশ্বকাপে মূলত দর্শক, সাংবাদিক তথা পুরো বিশ্বের নজর থাকে খেলোয়াড়দের উপর। কিন্তু রেফারিরাও তো কম যান না। একটা ম্যাচ পরিচালনা করতে বেশ কষ্ট করতে হয় রেফারিদের। লাইন্সম্যানের দায়িত্বে থাকা রেফারিদেরও নানা বাধা বিপত্তির মধ্য দিয়ে ম্যাচ পরিচালনার কাজ খুব শক্ত হাতে করতে হয়। বিশ্বকাপেও তাই আলাদা করে রেফারিদের উপর নজর থাকে সবার। কিন্তু এবার একটু আলাদাভাবে নজর থাকবে রেফারিদের উপর। কেননা প্রথমবারের মত রাশিয়া বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাচ্ছেন কোন নারী রেফারি।

ব্রাজিলের ফার্নান্দা কলম্বো উলিয়ানা প্রথম নারী হিসেবে বিশ্বকাপে লাইন্সম্যানের দায়িত্বে থাকবেন। ব্রাজিলের দক্ষিণের শহর সান্তা ক্যাটারিনাতে জন্ম উলিয়ানার। শারীরিক বিদ্যার উপর কোর্স শেষ করে প্রথম তিনি রেফারিংয়ে দিয়ে নজরে আসেন ২০১৪ সালে ব্রাজিলিয়ান কাপে সাও পাওলো বনাম ক্লাব দে রেগাতাস ব্রাজিলের মধ্যকার ম্যাচে। ঐ বছরেই ব্রাজিলিয়ান লিগে রেফারি হিসেবে প্রথম অভিষেক হয় তার।

এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। ব্রাজিলের প্রথম বিভাগ লিগে ভালো পারফরম্যান্স দেখি গেল কয়েকবছরের শীর্ষ রেফারিদের তালিকায় উঠে আসে তার নাম। আর সেটার পুরস্কারও হিসেবে পেয়ে যান বিশ্বকাপের মত বড় মঞ্চে কাজ করার সুযোগ।

অনন্য সুন্দরী উলিয়ানা রেফারিংয়ের পাশাপাশি মডেলিংও করে থাকেন। বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়ার পর স্প্যানিশ দৈনিক মার্কার কাছে দেওয়া এক তাৎক্ষণিক বার্তায় উলিয়ানা বলেন, ‘আমার জন্য উঠে আসাটা খুব সহজ ছিল না। আমি সবসময়েই ফুটবল পছন্দ করতাম। আমি ভালো খেলতে পারতাম না। যখন আমি শারীরকবিদ্যা নিয়ে কোর্স করতে যাই তখনই তারা আমাকে রেফারি হওয়ার প্রস্তাব দেয় এবং আমি সেটি পছন্দ করি। এই রাস্তাটা একদমই সোজা ছিল না।’

ভারতে হওয়া অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপেও লাইন্সম্যান হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন উলিয়ানা। নারী হয়ে এই পেশায় আসার কারণে নানা রকম সমালোচনাও সহ্য করতে হয় তাকে। বিভিন্ন সময়ে খেলোয়াড়, ম্যানেজার, কোচদের সঙ্গে তাকে নিয়ে মুখরোচক খবরে সরগরম থাকে ব্রাজিলিয়ান মিডিয়া। কিন্তু এসব কিছু একদম উড়িয়ে দেন তিনি। ‘আমার পেছনে করা সমালোচনাগুলোকে ভালো লাগে। আমার ছোটবেলার স্বপ্নকে আমি পূরণ করতে পেরেছি। আমার যা পছন্দ আমি তাই করতে পছন্দ করি।’