বিদেশে ঘোরাঘুরি করে লাভ হবে না : ফখরুলকে নাসিম
যুক্তরাষ্ট্রে সফররত বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, অহেতুক বিদেশে ঘোরাঘুরি করে কোনো লাভ হবে না। নির্বাচন হবেই। রেজাল্ট যা হয়, আমরা মেনে নেবো।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। প্রশাসন যখন আছে, মিডিয়া যখন আছে, বিদেশি পর্যবেক্ষকও আসবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নিজে বলেছেন, এ দেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে যার ইচ্ছা আসুক। কোনো অনুবিধা নাই।
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরই) সংগঠনটির সাবেক সভাপতি মোস্তাক হোসেনের স্মরণে এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সামনে নির্বাচন আসছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে অহেতুক, অপ্রয়োজনীয়ভাবে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। কেন কী কারণে? নির্বাচন এখন ঘরের দোয়ারে এসে কড়া নাড়ছে। এখানে জাতীয় নির্বাচনের বিকল্প তো কিছু হতে পারে না।
‘আমরা যারা গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দেশকে এগিয়ে নিতে চাই। তাদের সামনে তো কোনো বিকল্প নাই। আমাদের অনেক অভিজ্ঞতা অতীতে হয়েছে। সামরিক শাসন বারবার এসেছে। অবৈধ শাসন এসেছে বাংলাদেশে। ওয়ান-ইলেভেনের মতো একটি আধাসামরিক শাসনও এসেছে এ দেশে। অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে। কেউ কিছু দিতে পারেনি’,- বলেন নাসিম।
বাংলাদেশের সব অর্জন গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জাতিরজনককে হারানোর পর এ দেশে যেটুকু ভালো তা গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাই দিয়েছে। অন্য কোনো পথে আসে নাই। রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ভুল-ত্রুটি থাকতে পারে। পলেটিক্যাল গভর্মেন্টের ভুল-ত্রুটি হতে পারে। কিন্তু সমস্ত অর্জন এই পলেটিক্যাল গভর্মেন্ট এনেছে। তাহলে কেন? কী কারণে উত্তেজনা সৃষ্টি করে নির্বাচনের পথকে বন্ধ করে দেবো।’
তিনি বলেন, এই নির্বাচনের মাঠে যতবেশী দল আসবে, আসুক, আমরা তাদের স্বাগত জানাই। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। আজকে তথ্যপ্রযুক্তির যুগ, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার যুগ, কেউ কোথাও কিছু করে ফেলতে পারবে না। এক সেকেন্ডে সমস্ত খবর সবার কাছে চলে যাবে। তাহলে কেন আমরা নিজেরা এ হুমিকিগুলো দেবো, এরা ছাড়া নির্বাচন করতে দেয়া হবে না।
‘আপনি যদি ইলেকশন করতে না চান, ভালো কথা। এর খেসারত আপনাকে দিতে হবে। একবার তো খেসারত দিয়েছেন, আবার দিতে হবে। কিন্তু ইলেকশন বাদ দিয়ে, ইলেকশন ঠেকিয়ে কোনো লাভ হবে না। এ দেশে কেউ কোনোদিন ইলেকশন ঠেকাতে পারেনি। ১৯৭০ সালেও বড়বড় নেতারা স্লোগান দিয়েছিল, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর দৃঢ় প্রতিজ্ঞতার কারণে এ দেশে নির্বাচন হয়েছিল। সুতরাং ইলেকশন কেউ ঠেকাতে পারবে না’,- বলেন মোহাম্মদ নাসিম।
বড় দলগুলো নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হয়ে গেছে, জানিয়ে তিনি বলেন, ইলেকশন দেশে হবেই এবং বড় বড় দলগুলো ইলেকশনের জন্য প্রস্তুত হয়ে গেছে। মুখে যে যত কথাই বলুক, বড় দলগুলো মাঠে ময়দানে প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমি এক জায়গা থেকে বারবার নির্বাচিত হই। সেখানেও আমার বিরুদ্ধে ক্যাম্পিটিশন শুরু হয়ে গেছে। ভেতরে সবাই প্রস্তুত হচ্ছে, আর বাইরে ফাঁকা আওয়াজ দিচ্ছে। এ আওয়াজ দিচ্ছে , যাতে কিছু আদায় করা যায় কি না।
নাসিম আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ১০ বছর ধরে দেশ পরিচালনা করছি। শেখ হাসিনা সাহসের সঙ্গে অনেক সংকট উত্তোরণ করেছেন। নির্বাচনে যদি কোনো সংকট আসে, সেটাও আমরা অতিক্রম করতে পারবো। আমরা বিশ্বাস করি, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবার গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো জয়লাভ করবে। তবে আমরা চাই, নির্বাচনে সবাই অংশগ্রহণ করুক। কোনোভাবে আমরা নির্বাচনকে প্রভাবিত হতে দেবো না, কেউ প্রভাবিত করবে না।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন