ইরানে হামলার পেছনে ‘মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন পুতুলরা’
ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আহওয়াজ শহরে রেভল্যুশনারি গার্ড সেনাদের একটি কুচকাওয়াজে ভয়াবহ হামলায় হতাহতের ঘটনায় আরব উপসাগরীয় অঞ্চলের ‘মার্কিন সমর্থনপুষ্ট পুতুল সরকারদের’ হাত রয়েছে বলে দাবি করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা।
যদিও সরকারবিরোধী স্থানীয় আরব গোষ্ঠীগুলোর মোর্চা ‘আহওয়াজ ন্যাশনাল রেজিস্টেন্স’ এবং কথিত ইসলামিক স্টেট (আইএস) পৃথকভাবে এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। যদিও তারা এর সপক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেনি।
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের দালালরা’ ইরানে ‘নিরাপত্তাহীন পরিস্থিতি সৃষ্টি’র চেষ্টা করে যাচ্ছে।
শনিবার ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আহওয়াজ শহরে রেভল্যুশনারি গার্ডের কুচকাওয়াজে বন্দুকধারীরা এলোপাতাড়ি গুলি করে। এতে এ পর্যন্ত ২৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে; আহত হয়েছে ৭০ সেনা।
নিহতের অর্ধেকই সরাসরি আয়াতুল্লাহ খামেনির নির্দেশে পরিচালিত অভিজাত রেভল্যুশনারি গার্ডের কর্মকর্তা-সদস্য বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে হামলাকারী চারজনকেই হত্যা করা হয়েছে বলে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।
স্থানীয় সাংবাদিক বেহরাদ ঘাশেমি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, হামলাকারীরা ১০ থেকে ১৫ মিনিট জুড়ে গুলি ছোড়ে এবং হামলাকারীদের মধ্যে অন্তত একজন রেভল্যুশনারি গার্ডের পোশাক পরিহিত ছিল। তিনি বলেন, ‘প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম এসব বোধ হয় কুচকাওয়াজেরই অংশ।’
এ ঘটনার জন্য বিদেশি শক্তির অর্থ সহযোগিতাপ্রাপ্ত সন্ত্রাসীদের দায়ী করে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেন, ‘ইরান এ ঘটনায় সন্ত্রাসবাদের আঞ্চলিক অর্থদাতা এবং তাদের মার্কিন প্রভুরা জড়িত বলে মনে করছে।’
আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি হামলার ঘটনায় জড়িত এমন কোনো নির্দিষ্ট দেশের নাম উল্লেখ করেননি। তবে এর আগে ইরানের অভ্যন্তরে আরব সংখ্যালঘুদের ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যক্রমে’ সৌদি আরবের সংশ্লিষ্টতার কথা উল্লেখ করেছিল দেশটি।
ইরানি সরকার ও সেনাবাহিনী বলছে, আরব উপসাগরীয় দুটি দেশ হামলাকারীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে এবং দেশ দুটির যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেহরানে অবস্থানরত যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস ও ডেনমার্কের কূটনীতিকদের তলব করেছিল ইরান। অভিযোগ ছিল, এ তিনটি দেশ ইরানের শত্রুদের সহায়তা করে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, আহওয়াজ শহরে আয়োজিত ওই কুচকাওয়াজটি ছিল ১৯৮০ থেকে ১৯৮৮ সালে ইরাক-ইরান যুদ্ধের শুরুর দিনটি উদযাপন উপলক্ষে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন