বিজ্ঞান ফেল, চাঁদ দেখার ভরসা চোখ!

বিজ্ঞানসম্মত ধারণার যারা ধারক-বাহক চাঁদ দেখা কমিটিতে ছিলেন তারা দেখতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১১টায় ইসলামি ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে চাঁদ দেখা নিয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণাকালে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আবহাওয়া অধিদফতর ও মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রসহ বিজ্ঞানসম্মত উপায় যাদের চাঁদ দেখার কথা তারা দেখেননি।

খালি চোখে চাঁদ দেখেছেন লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রামের সাধারণ মানুষ। সন্ধ্যার পরপর চাঁদ দেখার তথ্য পেলেও ৬৪ জেলার দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা তখনো কেউ নিশ্চিত তথ্য জানাতে পারেননি।

পরবর্তীতে দেশ সেরা আলেম-ওলামাদের সঙ্গে পরামর্শ এবং প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে চাঁদ দেখার ব্যাপারে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়। এ কারণে ঘোষণা আসতে বিলম্ব হয়েছে বলে তিনি জানান।

আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকার দোহাই দিয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর ও মহাকাশ গবেষণা কোনো দেশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেও চাঁদ দেখতে না পারার ব্যর্থতার কারণে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী তথা সরকার সমালোচনার মুখে পড়েছে।

কোটি কোটি টাকা খরচ করে যন্ত্রপাতি কেনার পরেও কেন চাঁদ দেখতে পেল না তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। রাত সাড়ে এগারোটায় কাল ঈদ খবর শোনার পর রাজধানীবাসীর অনেকেই ঈদ প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত হতে দেখা যায়।

পাড়া মহল্লার মসজিদ মাদরাসার মাইক থেকে বুধবারের ঈদের ঘোষণা আসতে থাকে। শহরের মানুষ জেগে থাকলেও বিভিন্ন জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামের মানুষ অনেকেই তারাবির নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে পড়েন।

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির সৌদিপ্রবাসী যুবক মইন উদ্দীন রাসেল জানান, তাদের ঘরের সবাই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন পরিচিত একজনের ফোন পেয়ে কাল ঈদ এ ব্যাপারে নিশ্চিত হন। অন্যথায় হয়তো রাতে উঠে সেহেরি খেয়ে ফেলতেন।