জামিনে মুক্ত জঙ্গিরা নিবিড় নজরদারিতে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জঙ্গিবাদ নির্মূলে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির আলোকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। জঙ্গি হামলা প্রতিরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি জামিনে মুক্তিপ্রাপ্ত, সাজাপ্রাপ্ত ও আটক জঙ্গিদের নিবিড় নজরদারির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সোমবার জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশালাইজড ফোর্স গঠনের পাশাপাশি উপযুক্ত প্রশিক্ষণ, অপারেশনাল ও লজিস্টিকস সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া গোয়েন্দা নজরদারি এবং আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্বল্পসময়ের মধ্যে জঙ্গি আস্তানা, জঙ্গিদের অবস্থান শনাক্তপূর্বক গ্রেফতার কার্যক্রম চলমান। জঙ্গিসংশ্লিষ্ট কাজের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত/শনাক্তকরণের সুবিধার্থে এলাকাভিত্তিক ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ এবং বিডি পুলিশ হেল্পলাইন, হ্যালো সিটি ও রিপোর্ট টু র্যাব এর অনলাইন অ্যাপস চালু এবং গণসচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, জঙ্গি দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক এ যাবত অনেকগুলো সফল অভিযান পরিচালিত হয়েছে এবং যেকোনো ধরনের জঙ্গি-সংক্রান্ত বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা সদা তৎপর রয়েছে, পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে প্রচলিত আইন অনুযায়ী জঙ্গিদের গ্রেফতারপূর্বক বিচারের জন্য আদালতে সোপর্দ করার কার্যক্রম অব্যাহত আছে। জঙ্গি হামলা প্রতিরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ দমনের সফলতা বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মো. মুজিবুল হকের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো ২০১৮ সালে এক লাখ ৬১ হাজার ৩২৩ জন মাদক কারবারির বিরুদ্ধে এক লাখ ১৯ হাজার ৮৭৮টি মামলা করেছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি-মে পর্যন্ত ছয় হাজার ৬৭১ জন মাদক কারবারির বিরুদ্ধে ছয় হাজার ১৫৬টি মামলা করা হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন