ওলামাদের মুখে কেনো হজ বয়কটের ডাক?
হজ পালনের জন্য প্রায় ২০ লাখ মানুষ প্রতি বছর সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনা সফর করেন। তবে হজ বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন বিভিন্ন মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের ওলামারা৷ খবর ডয়েচে ভেলের।
লিবিয়ার গ্র্যান্ড মুফতি সাদিক আল-ঘারিয়ানি ফতোয়া দেন, যেসব মুসলিম দ্বিতীয়বারের মতো হজ করতে যাবেন, তারা ‘পুরস্কারের বদলে পাপের ভাগীদার’ হবেন৷
আল আরাবি সংবাদপত্রে আল-ঘারিয়ানিকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘হজ করতে যাওয়া মানে অন্য এক মুসলিম ভাইয়ের বিরুদ্ধে অপরাধ করতে সৌদি আরবকে সহায়তা করা’৷
বিভিন্ন সময়ে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইয়েমেন, লিবিয়া, সুদান, টিউনিশিয়া ও আলজেরিয়ায় অভিযান চালিয়েছে সৌদি সমর্থিত সেনাজোট৷
মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের তথ্যানুযায়ী, সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের আগ্রাসনে ইয়েমেনে চার বছরে অন্তত ৭০ হাজার মানুষ মারা গেছেন। এছাড়া দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে আছেন প্রায় দেড় কোটি মানুষ।
জাতিসংঘ আশঙ্কা প্রকাশ করে জানায়, ইয়েমেনে এই যুদ্ধ চলতে থাকলে ২০২০ সালের মধ্যে ২লাখ ৩০ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটবে৷ এর মধ্যে ১ লাখের বেশি সরাসরি হামলায় এবং আরো ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষ মারা যাবেন রোগ ও ক্ষুধায় ভুগে৷ এই পরিপ্রেক্ষিতে টিউনিশিয়ার ওলামা কাউন্সিল দেশটির গ্র্যান্ড মুফতিকে আহ্বান জানিয়েছে হজ বয়কটের ফতোয়া দিতে৷
দৈনিক আল-বাওয়াবা পত্রিকাকে দেশটির সিনিয়র ইসলামবিদ ফাদেল আশুর জানান, ‘গত বছর হজ থেকে পাওয়া অর্থ বিশ্বের দরিদ্রদের কল্যাণে ব্যয় করা হয়নি৷ বরং এই টাকা কাজে লাগানো হয়েছে ইয়েমেনের নাগরিকদের হত্যায়।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন