বোমা রাখার দায় স্বীকার আইএসের, পুলিশ বলছে ‘স্থানীয় গোষ্ঠী’
ঢাকায় পুলিশের দুটি চেক পয়েন্টের পাশে বোমা পুঁতে রাখার দায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) স্বীকার করলেও তা উড়িয়ে দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে স্থানীয় জঙ্গি গোষ্ঠীই এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে।
বৃহস্পতিবার জিহাদি কার্যক্রম পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সাইট ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে আইএস জানায়, ঢাকার দুটি পুলিশ চেক পয়েন্টে হামলার উদ্দেশ্যে দুটি বোমা স্থাপন করেছিল। তবে পুলিশ বলছে, বাংলাদেশে আইএসের কোনো অস্ত্বিত্ব নেই। অনেক সময় স্থানীয় গোষ্ঠী আইএসের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এ ধরনের ঘটনা ঘটায়। বোমা উদ্ধারের ঘটনার তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্থানীয় কোনো জঙ্গি গোষ্ঠী জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য এমনটি করেছে। তদন্ত শেষে কে বা কারা কী উদ্দেশ্যে বোমা রেখেছে তা বলা যাবে। বাংলাদেশে আইএসের কোনো অস্তিত্ব নেই।
এ বিষয়ে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, ‘আমাদের স্থানীয় জঙ্গি গোষ্ঠী, যারা ইতোপূর্বে এখানে কাজ করেছে, তারা হয়তো সক্রিয় থাকলেও থাকতে পারে। তবে আমরা তদন্ত করছি। বিষয়টি পুরোপুরি দেখে যখন বলার মতো হবে, তখন অবশ্যই আমরা বিস্তারিত বলব।’
গত ২৪ জুলাই রাত ১২টার দিকে খামারবাড়ি মোড়ের পুলিশ চেকপোস্টের কাছে থেকে এই বোমা সদৃশ বস্তুটি উদ্ধার করা হয়। সেখানকার মেট্রোরেল কর্মীরা সন্দেহজনক এই বস্তুটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তুটি উদ্ধার করে। এর আগে রাত ১১টার দিকে ঢাকার পল্টন মোড় এলাকার ট্রাফিক পুলিশ বক্সের কাছ থেকে আরেকটি বোমা সদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়। দুটি বোমারই ‘নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ’ ঘটান বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের সদস্যরা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন