বন্যা দুর্গত এলাকায় তৈরি হবে ‘মুজিব কেল্লা’ : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

বন্যাপ্লাবিত এলাকার মানুষ ও প্রাণীদের নিরাপদে রাখার জন্য ‘মুজিব কেল্লা’ নামে আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বন্যাদুর্গত এলাকার প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে “মুজিব কেল্লা” নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।’

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয় প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘মূল ভূমি থেকে নিরাপদ উচ্চতা সম্পন্ন এসব মুজিব কেল্লায় আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়াও বিস্তীর্ণ মাঠ থাকবে যেন সেখানে গবাদি পশু-পাখিও আশ্রয় নিতে পারে।’ প্রায় ৫ একর জায়গা নিয়ে এক একটি মুজিব কেল্লা তৈরি করা হবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, ‘মুজিব কেল্লায় মানুষের আশ্রয়ের জায়গার পাশাপাশি গবাদি পশুর জন্য তৃণ ভূমির ব্যবস্থাও থাকবে। সেখানে ঘাস চাষ করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার বন্যার্তদের পাশে রয়েছে। বন্যা দুর্গতদের কষ্ট লাঘবে করণীয় সকল কাজ সরকার করবে। আমরা ইতিমধ্যে ত্রাণ তৎপরতা বাড়িয়েছি। প্রয়োজন অনুযায়ী আরও বরাদ্দ বাড়ানো হবে।’ বানভাসি জনপদের মানুষদের স্থায়ী পুনর্বাসনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা নদী খনন করে বন্যা কবলিত এলাকার এমন সংস্কার করবো যাতে বন্যার পানি আর লোকালয়ে প্রবেশ না করে। এ জন্য সরকার দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।’

পরে প্রতিমন্ত্রী জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বিশেষ সভায় অংশ নেন। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীনের সভাপতিত্বে সভায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. জাকির হোসেন, কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।