‘ছেলেধরা সন্দেহে গ্রেফতার ৭০ শতাংশই বিএনপি-জামায়াতের’

ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হচ্ছে। আর এসব হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেফতার ব্যক্তিদের ৭০ শতাংশের বেশি বিএনপি-জামায়াতের কর্মী বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ন্যাপ ভাসানী আয়োজিত এক আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, যখন বাংলাদেশ পৃথিবীকে অবাক করে দিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করছে, তখন একটি কুচক্রীমহল প্রচণ্ডভাবে হতাশ। তারা রাজনৈতিকভাবে আমাদের মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে ও জনগণের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়ে নানা ধরনের হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তারা নানা ধরনের অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত গোষ্ঠী অপকৌশলের অংশ হিসেবে রটিয়েছে সরকারি অনুমোদন নিয়ে নাকি পদ্মা সেতুতে শিশু বলি দিতে হবে। তাও একটি-দুটি নয়, এক লাখ শিশু। এমন একটি গুজব রটিয়ে দেয়া হলো এবং সেই সূত্র ধরেই দেশে ছেলেধরা আতঙ্ক তৈরি করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় আতঙ্ক সৃষ্টিকারী কিছু মানুষ আর কিছু দুষ্কৃতকারী বিভিন্ন স্থানে নিরীহ মানুষের ওপর হামলা পরিচালনা করেছে। এদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে আছে। এদের অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে।

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, গ্রেফতার ব্যক্তিদের ৭০ শতাংশের বেশি হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত গোষ্ঠীর মানুষ। অর্থাৎ রাজনৈতিকভাবে ব্যর্থ হয়ে তারা নানা অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে।

সম্প্রতি গণপিটুনিতে কয়েকটি হত্যার ঘটনার প্রেক্ষাপটে সন্দেহের ওপর ভিত্তি করে আইন হাতে তুলে না নিয়ে পুলিশকে জানাতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সরকার। গুজব ছড়ানো ও আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া যে দণ্ডনীয় অপরাধ, সে বিষয়েও নাগরিকদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। কাউকে সন্দেহজনক মনে হলে নিজের হাতে আইন তুলে না নিয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।