কুমিল্লায় বাড়ছে টিন-রডের ঝুঁকিপূর্ণ পরিবহণ
কুমিল্লা নগরীতে বাড়ছে নির্মাণ সামগ্রীর ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহন। এতে করে প্রতিনিয়তই সড়কে যানজট, ভোগান্তি ও দুর্ঘটনার সৃষ্টি হচ্ছে। নির্মাণ সামগ্রী ব্যবসায়ী ও এসব ঝুঁকিপূর্ণ যান চলকদের মধ্যে কোনো সচেতনতা নেই। জেলা ট্রাফিক পুলিশ বলছে নজরে পড়লে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সড়কের উভয় পাশে ডজনেরও বেশী নির্মাণ সামগ্রীর দোকান রয়েছে। লাকসাম রোডের ব্যস্ততম সড়কের পাশে তৈরি হয়েছে অনেক রড় সিমেন্টের দোকান। শহরের প্রধান সড়কের উভয় পাশে রাজগঞ্জে রয়েছে টিন ও রড-সিমেন্টের দোকান। এছাড়াও শহরের অলি, গলিসহ মূল সড়কে বিচ্ছিন্ন ভাবে গড়ে উঠেছে রড, সিমেন্ট, টিনের আরও অনেক দোকান।
সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) কুমিল্লার সভাপতি রোকেয়া বেগম শেফালী মনে করেন- ইট, রড, সিমেন্ট, টিনসহ নির্মাণ পণ্যের গাড়ি রাত থেকে সকাল পর্যন্ত যাতায়াত করা উচিত। এ বিষয়ে আইন আছে, প্রয়োগ নেই। ট্রাফিক পুলিশ ও সিটি করপোরেশনের সমন্বিত উদ্যোগে তা সমাধান করা যেতে পারে। টিন ও রডের গাড়ির সামনে পিছনে যদি ভারী কাপড়, বস্তা বেঁধে দেওয়া হয় তাহলে দুর্ঘটনা কম হবে।
মেসার্স শান্তা ট্রেডার্সের মালিক মোমেন মিয়া বলেন, আমার মালামাল গোডাউন করি রাতে। ক্রেতা যারা তারা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় মাল নিয়ে যায়। সব সময় চালকদের বলি রডের গাড়ির সামনে পিছনে কাপড় বেঁধে রাখতে। তারা কথা শুনে না।
কুমিল্লা জেলা ট্রাফিক পুলিশের প্রধান মো. এমদাদ হোসেন জানান, কুমিল্লা শহরে মানুষ আছে পাঁচ লাক্ষাধিক। ট্রাফিক পুলিশ ৬৫জন। সবাই যদি বিবেকের বিবেচনায় না চলে যানজট সমাধান করা কঠিন। দিনে শহরে বড় ট্রাক বা কাভার্ড ভ্যান প্রবেশ করে না। এ ধরণের যানবাহন রাতে চলাচলের নিয়ম। যেখানে, সেখানে গাড়ি পাকিং আর নির্মাণ সামগ্রীর যানবাহন বড় একটি সমস্যা। টিন, রড নিয়ে একটি গাড়ি ডানে, বামে ঘুরতে গেলে পুরো একটি রাস্তা ব্লক হয়ে যায়। পুলিশের নজরে আসলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। নিয়ম ভঙ্গের কারণে অনেক সময় নিরাপত্তা মামলা করি। ছোট ট্রাক, পিকআপ ভ্যানকে জরিমানা করা হয়। রিকসা, ভ্যান, ঠেলাগাড়ি থামিয়ে তাদের আমরা কাপড় বা পলিথিন বেঁধে দেই।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মহিউদ্দিন বলেন, মেডিকেল-বাখরাবাদ সড়কটি মোটামুটি প্রশ্বস্ত আছে। রোড ডিভাইডার হলে যত্রযত্র গাড়ি ঘুরানো বন্ধ হতো। ইদানিং এ সড়কে রড, সিমেন্টের ট্রাক বেশী দেখা যায়। যেহেতু হাসপাতালের সড়ক এটি এখানে অ্যাম্বুলেন্স, মুমূর্ষু রোগী, ডাক্তারসহ জরুরি চিকিৎসা সেবায় যারা আছেন তারা যাতায়াত করেন। তাই সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিকতায় এ সমস্যা সমাধান হতে পারে। বহুদিন ধরে এ সম্যাস্যার কথা আমরা বলছি, কেউ আমাদের কথা শুনছে না।
কুমিল্লা সিটি কপোরেশন মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু বলেন, যানজট সমাধান একা সম্ভব নয়। ট্রাফিক পুলিশ, সাধারণ মানুষ, চালক, দোকানের মালিক সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন